বাংলা স্বর্ণযুগের খ্যাতনামা অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় (Sabitri Chatterjee)। বড় বড় ডাগর চোখের মেয়েটির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছিলেন আট থেকে আশি। তাঁর অভিনয় দক্ষতাও চমকে দিয়েছিল সকলকে। পরিবারে কেউ চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত হওয়া তো দূরে থাক, ওপার বাংলা থেকে এপারে এসে তিনিই প্রথম পা রাখেন রূপোলি জগতে। কষ্ট করে শক্ত করেন পায়ের তলার জমি।
আদতে বাংলাদেশের কুমিল্লার মেয়ে সাবিত্রী বেড়ে ওঠেন কলকাতায়। এপার বাংলায় এসে অনেক কষ্ট করে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। মোট নয় বোন তাঁরা। বড় হয়ে ওঠার সময় তেমন আর্থিক সচ্ছলতা দেখেননি। সেই সাবিত্রীই পরবর্তীতে নিজের যোগ্যতায় নাম করে দুই বাংলাতেই। সে সময়কার অনেক ঘটনাই তিনি প্রকাশ্যে এনেছিলেন। বিশেষ করে একটি ঘটনা তিনি একবার দাদাগিরি শোতে জানিয়েছিলেন। বিয়েবাড়িতে সকলের সামনে মার খেতে হয়েছিল সাবিত্রীকে!
নিজের ছোটবেলার কথা বলে গিয়ে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তাঁরা নয় বোন। তিনি যখন জন্ম নেন তখন কান্নাকাটি শুরু হয়ে গিয়েছিল বাড়িতে। এমনকি তাঁর জন্মের আগে কয়েকজন দিদির বিয়েও হয়ে গিয়েছিল। এরপরেই সাবিত্রী একটি স্মৃতি রোমন্থন করে জানান, তাঁর এক দিদির বিয়ের দিন তিনি দেখেন যে দিদিকে দেখতে এসেছিল সে বিয়ে করতে আসেনি। দুজন আলাদা মানুষ।
সাবিত্রী জনে জনে ডেকে জিজ্ঞাসা করতে থাকেন যে এমনটা কেন হল। অভিনেত্রী বলেন, তিনি এতই জ্বালাতে শুরু করেছিলেন যে ভরা বিয়েবাড়িতেই সজোরে এক থাপ্পড় কষিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর বাবা। বলেছিলেন, যে বিয়েটা করছে সে তো দেখেছে। তাহলেই হবে। সাবিত্রীর কী সমস্যা!