জি বাংলার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘মিঠাই’-এর মাধ্যমে যথেষ্ট পরিচিত নাম সৌমিতৃষা কুন্ডু (Soumitrisha Kundu)। শুটিং ফ্লোরে সৌমিতৃষা ডায়লগ বলেন। কিন্তু এখন মঞ্চে সৌমিতৃষা এলেই দর্শকরা তাঁর মুখে ‘মিঠাই’-এর ডায়লগ শুনতে চান। সম্প্রতি এইরকম একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে ডায়লগ বলতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন সৌমিতৃষা।
সৌমিতৃষা যে অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন, সেই অনুষ্ঠানে কেউ নাচ করেনি ‘মিঠাই’-এর গানে। ফলে তিনি অবলীলায় ‘মিঠাই’-এর ধরনে বলে উঠলেন, তাঁর অনেক অভিযোগ রয়েছে। দাদু না থাকার কারণে তিনি অনুষ্ঠানের সঞ্চালকের কাছে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, একজন দর্শকও এখানে তাঁর গানের সঙ্গে নাচেননি। এই ভাবে কি করে চলবে! ‘পোটেস’ করল মিঠাই। এরপরেই সৌমিতৃষা ফিরে গেলেন সেই সময় যখন মিঠাই সাইকেলে করে মিষ্টির প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাওয়ার সময় দাদুর নাতি ওরফে সিদ্ধার্থের লাল গাড়িতে ধাক্কা লেগে তার সমস্ত মনোহরা পড়ে যায়। ফলে দাদুর কাছে অভিযোগ জানাতে যায় মিঠাই। সে দাদুকে অভিযোগ করে বলে তার সমস্ত মনোহরা পড়ে গিয়েছে। কিন্তু উচ্ছেবাবু সিদ্ধার্থ তাকে সরি বলার পরিবর্তে তার হাতে দুই হাজার টাকার নোট ধরিয়ে দেয়। মিঠাই দাদুর কাছে সিদ্ধার্থের ‘সরি’ দাবি করে। এই ডায়লগটি সৌমিতৃষা বলতেই রীতিমত উচ্ছ্বসিত দর্শকদের একাংশ।
কিন্তু মিঠাই-এর সঙ্গে উচ্ছেবাবুর বিচ্ছেদের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন সৌমিতৃষা। তিনি একটি বিশেষ দৃশ্যের ডায়লগ বললেন। যখন মিঠাই চলে যাচ্ছে, তখন সে উচ্ছেবাবু সিদ্ধার্থকে বলে, তার মাথা ধরার ওষুধ কোথায় রাখা আছে। এছাড়াও সমস্ত খুঁটিনাটি সে বুঝিয়ে দিয়ে যায় সিদ্ধার্থকে। এমনকি মিঠাই বলে, সিদ্ধার্থ যদি কিছু খুঁজে না পায়, তাহলে সে যেন ফোন করে মিঠাইকে বলে, মিঠাই এসে সব খুঁজে দিয়ে যাবে। বাড়ির সবার কিছু ‘হেলেপ’ লাগলেও পাশে থাকবে মিঠাই। এই ডায়লগ বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন সৌমিতৃষা।
তিনি জানান, শুটিং ফ্লোরটা এখন একটা পরিবার হয়ে গিয়েছে। তিনি সকলের ঘরের মেয়ে। তবে এখানেই থেমে থাকেননি সৌমিতৃষা। তিনি ‘ফাগুনী পূর্ণিমা রাতে’ গানটি গেয়ে দর্শকদের মনোরঞ্জন করেছেন।