দিগন্ত জোড়া কালো মেঘের নিচে দাঁড়িয়ে রাজ্যবাসী তাকিয়ে রয়েছে আকাশের দিকে—আসছে নতুন লো প্রেসার, সঙ্গে বর্ষার তেজ! আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৪ জুলাই থেকে ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই মুহূর্তে উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরির ইঙ্গিত মিলেছে, যা বর্তমান মৌসুমি অক্ষরেখার সঙ্গে যুক্ত হয়ে আগামী সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গে প্রবল বৃষ্টি ডেকে আনতে পারে। শুধু তাই নয়, এই জুলাই মাসেই পাঁচটি নিম্নচাপ সিস্টেম ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের উপরে দিয়ে বয়ে গিয়েছে। যার ফলে কলকাতায় বৃষ্টির পরিমাণ পৌঁছেছে ৬১১.৯ মিমি-তে, যেখানে সাধারণত এই সময় অবধি বর্ষণের পরিমাণ থাকে ৫৫২ মিমির আশেপাশে।
আবহাওয়া দফতরের মতে, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, বর্ধমান এবং মুর্শিদাবাদে একাধিক স্থানে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি ঝড়ো হাওয়ার গতিবেগ থাকতে পারে ৩০ থেকে ৪০ কিমি প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত। বজ্রপাতের সম্ভাবনাও নেহাত কম নয়। কলকাতা এবং আশপাশের অঞ্চলে ৩০ জুলাই সবথেকে তীব্র বর্ষণের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া বিভাগ। এছাড়া ৩১ জুলাই পর্যন্ত শহর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি চলতেই পারে বলে জানানো হয়েছে। এই ধরনের অবিরাম বর্ষণ শহরাঞ্চলে ট্র্যাফিক সমস্যা, নিম্নাঞ্চলে জল জমা এবং জনজীবনে বড়সড় বিঘ্ন ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে তাই জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজন হলে ছাতা বা রেইনকোট ব্যবহার এবং বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি থেকে দূরে থাকার অনুরোধও জানানো হয়েছে।
প্রশ্নোত্তর (FAQ):
১. কবে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে?
→ ৩০ জুলাই কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় সবচেয়ে বেশি ঝড়ো বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
২. কোন জেলাগুলিতে বেশি বৃষ্টি হবে?
→ দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে।
৩. বৃষ্টির সঙ্গে কি ঝড় ও বজ্রপাতও হবে?
→ হ্যাঁ, ঝড়ো হাওয়ার গতিবেগ ৩০‑৪০ কিমি/ঘন্টা পর্যন্ত হতে পারে এবং বজ্রপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।
৪. এই পরিস্থিতি কি গতবারের মতোই হবে?
→ হ্যাঁ, জুলাই মাসে ইতিমধ্যেই পাঁচটি নিম্নচাপ দক্ষিণবঙ্গে অতিবৃষ্টি এনেছে। এবারও তারই পুনরাবৃত্তি হতে পারে।
৫. সাধারণ মানুষ কী সতর্কতা নিতে পারেন?
→ জলাবদ্ধতা এড়াতে নিচু জায়গা এড়িয়ে চলুন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঝুঁকি কমাতে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি থেকে দূরে থাকুন, এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত আপডেট নিয়মিত নজরে রাখুন।