নিম্নচাপের কবলে পড়েছে গোটা দক্ষিণবঙ্গ। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ৯ জুলাই সকাল থেকে রাজ্যের একাধিক জেলায় মাঝারি থেকে অতি ভারী বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বঙ্কুরা, ঝাড়গ্রাম এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইন্ডিয়া মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট (IMD)-এর খবর অনুযায়ী, নিম্নচাপের কেন্দ্র তৈরি হয়েছে গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গের উপর। এর প্রভাবে উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ৩৫–৪৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে, সঙ্গে থাকতে পারে ঘন্টায় ৫৫ কিমি পর্যন্ত দমকা বাতাস। ফলে সমুদ্র থাকবে উত্তাল, যার ফলে মৎস্যজীবীদের জন্য জারি করা হয়েছে কড়া নিষেধাজ্ঞা।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় কোথায় কতটা বৃষ্টির সম্ভাবনা? আবহবিদদের মতে, অধিকাংশ এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হলেও কিছু জায়গায় হতে পারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি। বিশেষত দক্ষিণবঙ্গের উল্লিখিত জেলা গুলিতে জারি করা হয়েছে উচ্চ সতর্কতা। পাশাপাশি পাহাড়ি এলাকার জন্যও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সাধারণ মানুষকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে চলা এবং জরুরি প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য। বিশেষ করে নিম্নাঞ্চলে জল জমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই সতর্ক করা হয়েছে। স্কুল ও অফিসগামী মানুষদেরও সকালের আবহাওয়া পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। অতএব, আজকের দিনটা বর্ষার অভিমুখে ঘন কালো মেঘ আর মাটির গন্ধে ভিজে থাকলেও, সচেতনতা ও সতর্কতা ছাড়া সামান্য অসতর্কতাও ডেকে আনতে পারে বিপদ।
প্রশ্নোত্তর
১. কেন আজ ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে?
→ দক্ষিণবঙ্গে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের কারণে সারাদিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
২. কোন কোন জেলা সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হবে?
→ পুরুলিয়া, বঙ্কুরা, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
৩. উপকূল এলাকায় কেমন পরিস্থিতি হতে পারে?
→ ঘণ্টায় ৩৫–৪৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে এবং দমকা হাওয়ার গতিবেগ পৌঁছাতে পারে ৫৫ কিমি প্রতি ঘণ্টায়। ফলে সমুদ্র থাকবে উত্তাল।
৪. আগামী ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টি কেমন হতে পারে?
→ বেশিরভাগ এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে, কিছু স্থানে অতি ভারী বৃষ্টিও হতে পারে।
৫. নিরাপদ থাকতে সাধারণ মানুষ কী করবেন?
→ ভূমিধসপ্রবণ ও নিম্নাঞ্চল এড়িয়ে চলা, অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ বন্ধ রাখা এবং স্থানীয় প্রশাসনের পরামর্শ মেনে চলাই হবে সুরক্ষার মূল চাবিকাঠি।