কাঞ্চন প্রসঙ্গে স্পষ্ট করে শ্রীময়ী চট্টরাজ বলেছিলেন, স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের মাঝে তাঁকে শিখণ্ডী করা হচ্ছে। কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গে তার বহু বছরের সম্পর্ক এবং তিনি কাঞ্চনের থেকে প্রায় ২৭ বছরের ছোট। এছাড়াও, শ্রীময়ীর দাবী, ‘পিঙ্কির নিজস্ব কোনও অস্তিত্ব নেই। এসব করে জনপ্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি।’
কাঞ্চন মল্লিকের স্ত্রী পিঙ্কি বন্দোপাধ্যায়ের দাবী, কাঞ্চন প্রেম করছেন এবং সন্তানের খবর রাখেন না। এরপরেই শ্রীময়ী গর্জে ওঠেন প্রতিবাদের সুরে। পরিস্কার জানান অন্য করার সঙ্গে প্রেম করলে জানাবেন এবং কাঞ্চন মল্লিক তার বহুদিনের পরিচিত মেন্টর। ব্যাস শ্রীময়ীর গল্পের সারাংশ এরকম। এবারে আসি কাঞ্চন অভিমান করে ঠিক কি বলেছিলেন।
View this post on Instagram
অভিনেতা কাঞ্চন জানান সংবাদমাধ্যমে, ‘বিধায়ক পদে জেতার পর মিষ্টির বাক্স হাতে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলাম। পরের দিন আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে পিঙ্কির আক্ষেপ, জাত অভিনেতার অপমৃত্যু হল! আমার জয়ে তার এই মন্তব্য? এর পরেই কিন্তু একাধিক দাবি-দাওয়ার ঝুলি খুলে বসে আমার স্ত্রী। প্রতি মাসে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা দিতে হবে তাঁকে। চাকরিও করে দিতে হবে ছেলের আয়ার ভাইকে! এত দাবি মেটানো আমার পক্ষে সম্ভব? বিধায়ক হলেও আদতে আমি তো ছা-পোষা অভিনেতা।’
সকলের কাছে স্পষ্ট কাঞ্চন শ্রীময়ী আলাদা, এবং তাদের পরকীয়া একেবারেই ভুয়ো। কিন্তু, এদিকে রথ যাত্রায় দুজন যে একসঙ্গে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কাঞ্চন শ্রীময়ী আলাদা আলাদা ছবি শেয়ার করলেও বেশ বোঝা যাচ্ছে তারা দুজন একই জায়গায় গিয়েছিলেন রথ যাত্রা উপলক্ষ্যে।
View this post on Instagram
এদিকে গত রথ যাত্রার দিন উত্তরপাড়ার তারকা তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক (Kanchan Mullick) সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন তার জগন্নাথ দেবের দর্শনের ছবি। ওই একই স্থানে গিয়ে সাংসদের পাশে দাড়িয়ে ফেসবুক লাইভ করেন শ্রীময়ী। এরপরেই দর্শকরা দুইয়ে দুইয়ে চার করে নেন। এদিকে শ্রীময়ী নিজেও কিছু কম যান না। মেরুন শাড়ি, কালো মেরুন টিপ, মানানসই গয়নায় সেজে ওঠেন। গাড়িতে আসতে আসতেই ভিডিও বানান। ক্যাপশনে লেখেন, ‘চোখে চোখে কত কথা, মুখে কেন বল না’! এই কঠিন অভিযোগ কার জন্য? একি একসঙ্গে থেকেও একসঙ্গে না থাকার অভিযোগ?
