সুজুকি মোটরসাইকেল ইন্ডিয়া তাদের প্রথম ইলেকট্রিক স্কুটার ‘ই-অ্যাক্সেস’-এর উৎপাদন শুরু করল। এই স্কুটারটি সংস্থার গুরগাঁও কারখানায় তৈরি হচ্ছে, যা ভারতের বৈদ্যুতিক দু-চাকার যানবাহনের প্রতিযোগিতামূলক বাজারে সংস্থার আত্মপ্রকাশের বার্তা বহন করে।
ই-অ্যাক্সেসে থাকছে ৩.০৭ কিলোওয়াট আওয়ার লিথিয়াম আয়রন ফসফেট (LFP) ব্যাটারি, যা একবার সম্পূর্ণ চার্জে প্রায় ৯৫ কিলোমিটার পথ চলতে সক্ষম। এতে ব্যবহার করা হয়েছে ৪.১ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বৈদ্যুতিক মোটর, যা ১৫ নিউটন মিটার টর্ক উৎপাদন করতে পারে। স্কুটারটির সর্বাধিক গতি ঘন্টায় ৭১ কিলোমিটার।
চার্জিং-এর ক্ষেত্রে দুই ধরনের অপশন থাকছে—একটি সাধারণ এসি চার্জার, যা ব্যাটারিকে পুরো চার্জ করতে প্রায় ৬ ঘণ্টা ২০ মিনিট সময় নেয় এবং একটি ডিসি ফাস্ট চার্জার, যা চার্জিং টাইম কমিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা ১২ মিনিটে নিয়ে আসে।
রাইডিং মোডের ক্ষেত্রেও আধুনিকতা বজায় রেখেছে সুজুকি। ই-অ্যাক্সেসে থাকছে ইকো, রাইড মোড A, রাইড মোড B এবং রিভার্স মোড, যেগুলি নিয়ন্ত্রণ করা যায় Suzuki Drive Mode Selector-e (SDMS-e) ফিচারের মাধ্যমে।
ডিজাইনের দিক থেকেও নজরকাড়া এই স্কুটার। থাকছে রেকট্যাঙ্গুলার এলইডি হেডল্যাম্প, উলম্ব DRL স্ট্রিপ, ১২ ইঞ্চি অ্যালয় হুইল, এবং ৪.২ ইঞ্চির ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল, যা স্মার্টফোন কানেক্টিভিটি সাপোর্ট করে। এর পাশাপাশি স্কুটারটিতে থাকছে রিজেনারেটিভ ব্রেকিং, বেল্ট ড্রাইভ সিস্টেম (মেইনটেনেন্স-ফ্রি), কীলেস স্টার্ট, ইউএসবি চার্জিং পোর্ট ও ১৭ লিটার আন্ডারসিট স্টোরেজ।
রঙের ক্ষেত্রেও ভিন্নতা এনেছে সুজুকি। স্কুটারটি তিনটি ডুয়াল-টোন কালারে পাওয়া যাবে—মেটালিক ম্যাট ব্ল্যাক/বোর্দো, পার্ল গ্রেস হোয়াইট এবং পার্ল জেড গ্রিন। ভারতীয় বাজারে এই ইলেকট্রিক স্কুটারটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে হোন্ডা অ্যাক্টিভা ই, টিভিএস আইকিউব, অথার রিজতা, বাজাজ চেতক এবং ওলা S1-এর মতো জনপ্রিয় মডেলের সঙ্গে।
এই নতুন যাত্রাকে সাফল্যমণ্ডিত করতে সুজুকি তাদের ডিলার নেটওয়ার্ককে প্রশিক্ষিত করছে, যাতে গ্রাহকরা বিক্রয়োত্তর পরিষেবায় কোনো অসুবিধায় না পড়েন। এতে স্পষ্ট, ই-অ্যাক্সেস শুধু একটি স্কুটার নয়, বরং ইলেকট্রিক যানবাহন জগতে সুজুকির ভবিষ্যৎ রোডম্যাপের প্রথম ধাপ।