স্বামীজি ছিলেন ভোজন রসিক, মজা করে বলেছিলেন, ‘আমি কচুরি সম্প্রদায়ভুক্ত সন্ন্যাসী’
স্বামীজির জন্মদিনে চলুন জেনেনি স্বামীজীর নানা অজানা কাহিনী। স্বামী বিবেকানন্দ খেতে খুব ভালোবাসতেন। সন্ন্যাসী হয়েও তিনি খাওয়া-দাওয়ায় কোনো রকম বাদ বিচার করতেন না। মাছ-মাংসের অসাধারণ পদ ছিল তার প্রিয়। কচুরি, আলুর তরকারি, কই মাছ ছিল নরেনের বিশেষ প্রিয় খাদ্য।
শ্রী রামকৃষ্ণের সঙ্গে দেখা হওয়ার আগে তিনি তার বাল্য বন্ধুদের নিয়ে তৈরি করেছিলেন একটি ছোট্ট সংঘ যার নাম দিয়েছিলেন ‘পেটুক সংঘ’। সংঘের নামকরণ দেখেই বোঝা যাচ্ছে, তিনি খেতে কতটা ভালোবাসতেন। তিনি কচুরি, আলুর তরকারি খেতে ভীষণ ভালোবাসতো। তাইতো তিনি একবার মজার ছলে বলেছিলেন তিনি কচুরি সম্প্রদায়ভুক্ত সন্ন্যাসী। তবে স্বামীজি যে শুধু নিজে খেতে ভালবাসতেন তাই নয়, নিজের হাতে চপ, কাটলেট বানিয়ে নিজেও খেতে এবং অন্যদেরও খাওয়াতে খুব ভালোবাসতেন।
মুরগির মাংস খাওয়ার অতটা চলছিল না। কিন্তু নরেন খেতে ভালবাসতেন মুরগির ফাউলকারি। তবে তার এমন কাজকর্ম দেখে অনেক অভিযোগকারী শ্রীরামকৃষ্ণকে তার সম্বন্ধে নিন্দা করতে যেতে। তাতে অবশ্য কোনো লাভ হয়নি। নরেন যতই অপরাধ করুক শ্রীরামকৃষ্ণ তাকে ক্ষমা করে দিতেন। কারণ তিনি যে স্বামী বিবেকানন্দ। গোটা জগতের যুব সম্প্রদায়কে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল তার বাণী। শ্রীরামকৃষ্ণ সেই সমস্ত অভিযোগকারীকে ধমক দিয়ে বলে দিতেন, ‘তুই যদি হবিষ্যিও খাস আর নরেন্দ্র যদি হোটেলেও খায় তাহলেও তুই নরেনের সমান হতে পারবি না’।