শহরের ব্যস্ত রাস্তায় ট্র্যাফিকের ভিড়ে একটানা যাত্রার উপযুক্ত সমাধান আনল টাটা। সংস্থা সম্প্রতি বাজারে লঞ্চ করল তাদের নতুন প্রিমিয়াম ইলেকট্রিক বাইক, যার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ — একবার চার্জেই প্রায় ২৮০ কিমি পথ অতিক্রম করার ক্ষমতা। টাটার এই নতুন প্রজন্মের ইলেকট্রিক বাইকটি মূলত শহরের দৈনন্দিন যাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে। স্টাইলিশ ডিজাইন, আরামদায়ক রাইডিং অভিজ্ঞতা এবং উন্নত ব্যাটারি পারফরম্যান্সের সংমিশ্রণে বাইকটি বাজারে প্রবেশ করেছে ৮৫,০০০ (এক্স-শোরুম) দামে। এই মূল্য শহুরে মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের জন্য যথেষ্ট আকর্ষণীয় বলা চলে।
এই ই-বাইকটি একটি প্রিমিয়াম রেঞ্জের অংশ হলেও এর মূল ফোকাস হলো ব্যবহারিক সুবিধা এবং সাশ্রয়ী ব্যয়। বর্তমান সময়ে যেখানে পেট্রোলের দাম দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পরিবেশ দূষণ এক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেখানে ইলেকট্রিক গাড়ি গুলির প্রতি আগ্রহ ক্রমাগত বাড়ছে। এর মধ্যেই টাটার এই উদ্যোগ এক নতুন দিশা দেখাতে পারে। বাইকটির ব্যাটারি এবং মোটরের নির্ভরযোগ্যতা, শহুরে পরিবেশে রাইডিং কন্ডিশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ডিজাইন করা হয়েছে। পাশাপাশি, চার্জিং টাইম ও সার্ভিস সাপোর্ট নিয়েও সংস্থার পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই বাইকটি শুধুমাত্র শহুরে যাত্রীদের জন্য নয়, যারা পরিবেশ-বান্ধব অথচ কার্যকর বিকল্প খুঁজছেন তাদের জন্যও এটি একটি লাভজনক বিকল্প হয়ে উঠতে পারে। একইসঙ্গে দেশের ই-মবিলিটি সেক্টরে এটি এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।
প্রায়শই জিজ্ঞাস্য প্রশ্ন (FAQs):
১. টাটার এই ইলেকট্রিক বাইকটির রেঞ্জ কত?
একবার পুরো চার্জে প্রায় ২৮০ কিমি পর্যন্ত যাত্রা করা সম্ভব।
২. বাইকটির দাম কত রাখা হয়েছে?
এই বাইকটির এক্স-শোরুম মূল্য ৮৫,০০০।
৩. এই বাইকটি কাদের জন্য উপযুক্ত?
শহরের দৈনন্দিন যাত্রী, অফিসযাত্রী এবং স্টাইলিশ অথচ সাশ্রয়ী বিকল্প খোঁজার জন্য এটি উপযুক্ত।
৪. চার্জিং টাইম সম্পর্কে কী জানা গেছে?
চার্জিং সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট তথ্য এখনও জানানো না হলেও দ্রুত চার্জিং সাপোর্ট দেওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে।
৫. ইলেকট্রিক বাইকের বাজারে এর প্রভাব কী হতে পারে?
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে ইলেকট্রিক বাইক ব্যবহারের আগ্রহ অনেক বাড়াবে।