হিটার ছাড়াই গরম থাকবে বেডরুম, শীতেও আরামদায়ক রাত কাটবে এই ৪ ঘরোয়া উপায়ে
ডিসেম্বর প্রায় শেষের মুখে। আর ডিসেম্বরেই প্রবল শীতের চাদরে ঢেকে গেছে গোটা রাজ্য। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে যাওয়ার পর যেন শীতের দোর খুলে গিয়েছে বাংলা বুকে। সেই সঙ্গে উত্তরে হাওয়ার দাপটে আপাতত বাংলার বুকে দাপট দেখাচ্ছে শীত। ইতিমধ্যে, দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ঘটেছে ব্যাপক পারদ পতন। সেই সঙ্গে শহর কলকাতাও এখন ঠান্ডায় জুবুথুবু। উত্তরবঙ্গেও নিয়মমাফিক শীত পড়েছে, শুরু হয়েছে তুষারপাত।
আর এই শীতকালে ঘর গরম রাখাটা অনেকটা চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায়। কারণ শীতকালে হিমঘরের মতো ঠান্ডা হয়ে যায় রুম। সেইসঙ্গে এখন মার্বেল ও টাইলস দিয়ে বানানো মেঝেওয়ালা রুমে তো অনুভূত হয় বাড়তি শীত। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই রুম হিটার ব্যবহার ককরে থাকেন। কিন্তু অনেকেরই এমন রুম হিটার কেনার সামর্থ থাকে না। তবে তাদের জন্যও ঘর গরম রাখার একাধিক ঘরোয়া উপায় রয়েছে। এই নিবন্ধ থেকে জেনে নিন এমনই কয়েকটি উপায়।
● মেঝেতে কার্পেট দেওয়া: আজকাল প্রায় সব বাড়িতেই মার্বেল পাথর বা টাইলস দিয়ে মেঝে বানানো হয়। আর এই কারণেই রুমের তাপমাত্রা কমে যায় অনেকটাই। তাই রুম গরিম রাখতে প্রথমেই মেঝের উপর কার্পেট বিছিয়ে দিতে হবে। কার্পেট বা কিনতে পারলে শতরঞ্জি বিছিয়ে রাখতে পারেন। এতে ঘরের তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যাবে।
● ঠান্ডা বাতাস রোধ করা: শীতকালে রোম গরম রাখতে বিকেলের পর রুমের সমস্ত জানালা ও দরজা বন্ধ করে রাখুন। এতে ঠানফ বাতাস রুমে ঢুকবে না। ফলে রুম গরম থাকবে। একইসঙ্গে দিনের বেলায় রুমের জানালা দরজা খুলে দিন। যাতে করে রুমে পর্যাপ্ত রোদ ঢুকতে পারে। রুমে রোদ ঢুকলে রুমের তাপমাত্রা অনেকটাই বেশি থাকে।
● রুমে টুকিটাকি রান্না করা: প্রবল শীতে উপরোক্ত উপায়গুলি অবলম্বন করলেও অনেকসময় রুম গরম হয়না। সেক্ষেত্রে রুমের ভেতর টুকিটাকি রান্না করতে পারেন। চা করা থেকে শুরু করে রুমের ভেতর জল গরম, দুধ গরমের মতো টুকিটাকি কাজ করতে পারেন। এতে রুমের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে।
● রুমে উজ্জ্বল রং ব্যবহার করা: সবসময় বেডরুমের দেওয়ালে উজ্জ্বল রং করা উচিত। কারণ দেওয়ালে থাকা উজ্জ্বল রং আলো ও তাপ শোষণ করে রাখতে পারে। এর ফলে শীতেও রুমের তাপমাত্রা খুব বেশি কমবে না।