ভারতের ইলেকট্রিক যানবাহনের বাজারে যেন এক নতুন ইতিহাস রচনা করল TVS iQube। লঞ্চের মাত্র ১৩ মাসের মধ্যেই এই ই-স্কুটার ছুঁয়ে ফেলেছে ৩ লক্ষ ইউনিট বিক্রির মাইলস্টোন। বর্তমানে এটি দেশের সেরা বিক্রিত ইলেকট্রিক টু-হুইলারের শিরোপা ধরে রেখেছে পরপর দু’মাস ধরে। এই স্কুটার তিনটি ভ্যারিয়েন্ট ও নয়টি রঙে উপলব্ধ। শুরু দাম ৯৬,২৭৮ (এক্স-শোরুম)। সবচেয়ে সাধারন ভ্যারিয়েন্টে রয়েছে ২.২ kWh ব্যাটারি ও ৪ kW মোটর, যা ৭৫ কিমি প্রতি ঘণ্টার সর্বোচ্চ গতিতে পৌঁছতে পারে এবং ফুল চার্জে ৭৫ কিমি রেঞ্জ দেয়। মধ্যবর্তী ভ্যারিয়েন্টে ব্যাটারি ক্যাপাসিটি বাড়িয়ে ৩.৪ kWh করা হয়েছে, যা দিয়ে ১০০ কিমি পর্যন্ত রেঞ্জ পাওয়া যায়। এই সংস্করণে চার্জ নিতে সময় লাগে প্রায় ৪.৫ ঘণ্টা।
সবচেয়ে উন্নত ST মডেলে রয়েছে ৪.৪ kW মোটর, সঙ্গে ৩.৪ বা ৫.১ kWh ব্যাটারি অপশন। এর সর্বোচ্চ রেঞ্জ ১৫০ কিমি এবং টপ স্পিড ৮২ কিমি প্রতি ঘণ্টা। এই স্কুটারের আকর্ষণের অন্যতম বড় দিক হল এর উন্নত প্রযুক্তিগত ফিচার। এতে রয়েছে ৭ ইঞ্চির TFT ডিসপ্লে, OTA সফটওয়্যার আপডেট, LED হেডলাইট, স্মার্টফোন কানেক্টিভিটি, ন্যাভিগেশন প্রম্পট, ক্র্যাশ ও ফ্যাল অ্যালার্ট, জিও-ফেন্সিং, পার্ক অ্যাসিস্ট, রাইড মোড, ইউএসবি চার্জিং ও অ্যান্টি-থেফ্ট অ্যালার্ট।
সেফটির দিক থেকেও পিছিয়ে নেই। সামনের দিকে ডিস্ক ব্রেক ও পেছনের দিকে ড্রাম ব্রেক রয়েছে Combined Braking System (CBS)-সহ, যা উন্নত নিয়ন্ত্রণ দেয় চালকদের। ভারতে Ola S1, Bajaj Chetak, Ather 450 সিরিজ, Hero Vida V1-এর মতো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী থাকা সত্ত্বেও বাজারে জায়গা করে নিয়েছে TVS iQube। পরিবেশবান্ধব ও ফিচারসমৃদ্ধ এই ই-স্কুটার ক্রেতাদের মন জয় করতে পেরেছে বলেই মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।
প্রাসঙ্গিক প্রশ্নোত্তর
১. কী পরিমাণ সময়ের মধ্যে বিক্রি হয়েছে ৩ লাখ iQube?
→ মোট ১৩ মাসের মধ্যে এই রেকর্ড বিক্রি হয়েছে।
২. TVS iQube বর্তমানে বাজারে কত নম্বরে রয়েছে?
→ এটি বর্তমানে ভারতের সেরা ইলেকট্রিক টু-হুইলার।
৩. দাম ও ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে কী জানা গেছে?
→ এটি তিনটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যায়, যার শুরু দাম ৯৬,২৭৮।
৪. ব্যাটারি ও রেঞ্জ কতটা?
→ রেঞ্জ ভ্যারিয়েন্ট অনুযায়ী ৭৫ থেকে ১৫০ কিমি পর্যন্ত।
৫. কি ধরনের প্রযুক্তিগত ফিচার আছে?
→ TFT ডিসপ্লে, OTA আপডেট, স্মার্টফোন কানেক্ট, ন্যাভিগেশন, অ্যান্টি-থেফ্ট অ্যালার্ট সহ একাধিক আধুনিক ফিচার রয়েছে।