একসময় জাপানি প্রযুক্তির বুলেট ট্রেনই ছিল স্বপ্নের যাত্রাপথ। কিন্তু এখন সেই স্বপ্ন বদলে গিয়েছে বাস্তবতার সাশ্রয়ী রূপে। ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে নির্মিত বন্দে ভারত ট্রেন এবার জায়গা নিতে চলেছে মুম্বাই–আহমেদাবাদ হাই-স্পিড রেল করিডরে। রেল মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই রুটে আর চালু করা হবে না জাপানি শিনকানসেন বুলেট ট্রেন। পরিবর্তে ২৫০ কিমি/ঘণ্টা গতি সম্পন্ন ভান্দে ভারত সিটিং ট্রেন চালানো হবে, যা কম খরচে অধিকতর কার্যকর পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে। প্রকল্পের প্রথম ধাপে সুরত থেকে বলিমোরা পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার অংশে নির্মাণকাজ প্রায় সম্পূর্ণ। ট্রায়াল রান শুরু হতে পারে চলতি বছরের শেষেই। প্রাথমিকভাবে দুটি ভান্দে ভারত ট্রেন, প্রতিটি ৮টি কোচ বিশিষ্ট, এই রুটে চালু করা হবে। পূর্ণাঙ্গ যাত্রী পরিবহন শুরুর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০২৭ সাল।
এর আগে পরিকল্পনা ছিল ৩২০ কিমি/ঘণ্টা গতিসম্পন্ন জাপানি শিনকানসেন চালু করার, যা জাপানের সহায়তায় গৃহীত সফট লোনের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জাপানে কোচের উৎপাদন খরচ ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় (প্রতি কোচের দাম প্রায় ₹৫০ কোটি), সেই পরিকল্পনা থেকে সরে এসে দেশি ট্রেনের পথ বেছে নিয়েছে সরকার। এই সিদ্ধান্তে দুইটি দিক গুরুত্ব পেয়েছে—এক, ব্যয় সাশ্রয়; দুই, দেশের নিজস্ব প্রযুক্তিকে উৎসাহ দেওয়া। যদিও গতি কিছুটা কমবে, তবুও ট্রেনের স্বাচ্ছন্দ্য, সময়ানুবর্তিতা এবং উৎপাদনে আত্মনির্ভরতা ভারতীয় রেলের ভবিষ্যৎ কৌশলে নতুন মাত্রা যোগ করছে।
প্রায়শই জিজ্ঞাস্য প্রশ্ন (FAQs):
১. মুম্বাই–আহমেদাবাদে বুলেট ট্রেন চালু হবে না?
না, এই প্রকল্পে এখন আর জাপানি বুলেট ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নেই।
২. বন্দে ভারত ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি কত?
এই ট্রেন সর্বোচ্চ ২৫০ কিমি/ঘণ্টা গতি তুলতে পারবে।
৩. ট্রায়াল কবে থেকে শুরু হতে পারে?
২০২৫ সালের শেষ নাগাদ ট্রায়াল রানের সম্ভাবনা রয়েছে।
৪. শুরুতে কতটি ট্রেন চালানো হবে?
দুটি ভান্দে ভারত ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৫. এই পরিবর্তনের পেছনে কারণ কী?
জাপানি কোচের অত্যধিক খরচ এবং পরিচালন ব্যয় কমাতে দেশীয় প্রযুক্তির ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।