২০২৫ সালের জুলাইয়ে দেশের রেলপথে যুক্ত হতে চলেছে এক নতুন মাত্রা—‘বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন’। দীর্ঘ পথের যাত্রীদের রাতের সফরকে আরও আরামদায়ক ও দ্রুততর করে তুলতে এই আধুনিক ট্রেন চালুর পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ট্রেন তৈরির প্রক্রিয়া জোরকদমে চলছে, নির্মাণে যুক্ত রয়েছেন বেঙ্গালুরুর BEML এবং চেন্নাইয়ের ICF।
এই নতুন বন্দে ভারত ট্রেন হবে সম্পূর্ণ স্লিপার সংস্করণ, অর্থাৎ রাতের দীর্ঘ দূরত্বের ভ্রমণ যাত্রীদের জন্য। ট্রেনটির গতি হবে সর্বাধিক ১৬০ কিমি/ঘণ্টা, যা বর্তমানে রাজধানী ও অন্যান্য সুপারফাস্ট ট্রেনের তুলনায় প্রায় দুই ঘণ্টা সময় সাশ্রয় করবে। প্রতিটি ট্রেন সেটে থাকবে মোট ১৬টি কোচ।রেল বোর্ডের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৫–২৬ অর্থবছরের মধ্যেই এমন ৩০টি বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন চালু করা হবে দেশজুড়ে। প্রথম ট্রেনটির কমার্শিয়াল পরিষেবা শুরু হতে পারে ২০২৫ সালের জুলাইয়ের শেষের দিকে, তার আগে হবে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত পরীক্ষা ও রুট ট্রায়াল।
নতুন ট্রেনগুলির ভিতরে থাকবে উন্নত মানের প্রযুক্তি, যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য পর্যাপ্ত সুবিধা, এবং পুরোপুরি দেশীয় নির্মাণ। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের অধীনে তৈরি হওয়া এই ট্রেন দেশীয় প্রযুক্তি ও উৎপাদনের বিকাশেও বড় ভূমিকা রাখবে।রাতের দীর্ঘ সফরে নিরাপত্তা, গতি এবং আরাম—এই তিনটি দিককে মাথায় রেখেই তৈরি হচ্ছে এই ট্রেন। বর্তমানে যেখানে রাতের যাত্রা মানেই রাজধানী, দুরন্ত বা মেল ট্রেনের উপর নির্ভর, সেখানে বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন যাত্রীদের একটি দ্রুততর ও আধুনিক বিকল্প দেবে।
প্রায়শই জিজ্ঞাস্য প্রশ্ন (FAQs)
১. বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন চালু হবে কবে?
২০২৫ সালের জুলাই মাসের শেষে প্রথম ট্রেন যাত্রীসেবায় যুক্ত হতে পারে।
২. এই ট্রেন কতটা দ্রুত চলবে?
ট্রেনটির সর্বোচ্চ গতি ১৬০ কিমি/ঘণ্টা।
৩. এক একটি ট্রেন সেটে কতগুলো কোচ থাকবে?
প্রতিটি বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনে ১৬টি কোচ থাকবে।
৪. মোট কতটি ট্রেন চালু হবে?
রেল বোর্ডের পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩০টি ট্রেন চালু হবে ২০২৫–২৬ সালের মধ্যে।
৫. এই ট্রেন কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
এটি আধুনিক প্রযুক্তি, রাতের ভ্রমণের জন্য বিশেষ নকশা, দ্রুত গতি এবং দেশীয় নির্মাণ—এই সবদিক থেকেই এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।