চলন্ত ট্রেনের বাইরে ঝুলে নিজের ‘দমদার স্টান্ট’ দেখানোর চেষ্টা করছিলেন এক যুবক। এক হাতে শক্ত করে ট্রেনের দুটি বগির মাঝের অংশ ধরে, অন্য হাত নাড়িয়ে এবং “হর-হর মহাদেব” বলে চিৎকার করে চলছিল তাঁর অভিনব কাণ্ড। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই ঘটে গেল বিপত্তি। পাশ দিয়ে চলে যাওয়া একটি বিদ্যুতের খুঁটি সরাসরি আঘাত করল তাঁর মুখে। ধাক্কার তীব্রতায় পিছিয়ে গেলেও, সৌভাগ্যক্রমে ট্রেনের গতি কম থাকায় বড়সড় চোট থেকে রক্ষা পান তিনি। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই নেটিজেনদের মধ্যে নিন্দার ঝড় ওঠে। অনেকেই একে সম্পূর্ণ দায়িত্বজ্ঞানহীন ও প্রাণঘাতী কাজ বলে আখ্যা দিয়েছেন। এক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, “যদি মাথায় লাগত, তবে বাঁচা সম্ভব হতো না।” ভিডিওটি ইতিমধ্যেই ২ লক্ষের বেশি বার দেখা হয়েছে এবং শতাধিক মন্তব্যে ভরে উঠেছে।
এই ঘটনাটি শুধুমাত্র এক ব্যক্তির অবিবেচক কাজ নয়, বরং জনপরিবহনে নিরাপত্তা অবহেলার একটি উদাহরণ হিসেবেও ধরা হচ্ছে। রিল বা ভাইরাল ভিডিওর নেশায় জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলা যে কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, এই ভিডিও তারই প্রমাণ। রেল কর্তৃপক্ষ বহুবার সতর্কবার্তা জারি করলেও, এ ধরনের কাণ্ড বন্ধ হচ্ছে না। এমন স্টান্ট শুধু নিজেকে নয়, ট্রেনের অন্যান্য যাত্রীদেরও বিপদে ফেলতে পারে। চলন্ত ট্রেনের বাইরে দাঁড়ানো বা ঝোলা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, কয়েক সেকেন্ডের রোমাঞ্চের জন্য এমন জীবনহানির ঝুঁকি নেওয়া অত্যন্ত বিপজ্জনক প্রবণতা।
প্রশ্নোত্তর (FAQ)
১. যুবকটি কী ধরনের স্টান্ট করেছিলেন?
→ তিনি চলন্ত ট্রেনের বাইরে দুটি বগির মাঝখানে এক হাতে ঝুলে অন্য হাত নাড়াচ্ছিলেন এবং স্লোগান দিচ্ছিলেন।
২. দুর্ঘটনার কারণ কী ছিল?
→ পাশ দিয়ে যাওয়া একটি বিদ্যুতের খুঁটি তাঁর মুখে আঘাত করেছিল।
৩. তিনি কি গুরুতর আহত হয়েছিলেন?
→ না, সৌভাগ্যক্রমে ট্রেনের গতি কম থাকায় বড়সড় চোট লাগেনি।
৪. জনসাধারণ কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে?
→ সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে দায়িত্বজ্ঞানহীন ও বিপজ্জনক আচরণের জন্য কড়া সমালোচনা করা হয়েছে।
৫. ভিডিওটি কতটা জনপ্রিয় হয়েছে?
→ এটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ২ লক্ষের বেশি বার দেখা হয়েছে এবং দ্রুত ভাইরাল হয়েছে।
Kaisi laparvahi Karte Hain Log pic.twitter.com/PnvmEw4NlN
— Prabha Rawat 🕉️🇮🇳 (@Rawat_1199) August 11, 2025