পুজো মানেই পাঁচটা দিন দেদার ঘোরা, আড্ডা, ফটো তোলা, খাওয়া আর রাত জেগে ঠাকুর দেখা। কিন্তু, যদি বৃষ্টি হয় তাহলে? পুজোর ড্রেস থেকে মেক আপ সব জলে ভিজে শেষ। ইতিমধ্যে, অনেকেই মাকে ডাকছেন যে এই পুজোয় যেন বৃষ্টি না হয়। কাদায় মাখামাখি করে কি আর আনন্দ হয়? তাইবলে শুধুই কি আনন্দ? পুজোর সময় লক্ষ্মী লাভ হয় অনেকের। অনেকেই নানান ব্যবসা খুলে বসেন। সারা বছর যেমন তেমন বিক্রি হলেও পুজোর সময় দারুন বিক্রি হয়। বস্ত্র বিপণি থেকে ফুটের খাবার দোকান, সবাই রমরমিয়ে ব্যবসা করে। তাই পুজোয় বৃষ্টি কারোরই কাম্য নয়। চলুন দেখি কী খোঁজ খবর দিচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
কলকাতার আকাশ বেশ শুভ্র নীল। চারিদিকে নানান ধরনের ঘুড়ি উড়ছে, পাখিদের আনাগোনা, শরৎ এর নীল আকাশ বলে দিচ্ছে মায়ের অকাল বোধন হতে চলেছে। যদিও একপশলা বৃষ্টি এদিক ওদিক হচ্ছে, কিন্তু সেই বৃষ্টি স্থায়ী নয়, এবং এতে করে জল জমার সম্ভবনা নেই। তাহলে কি পুজোয় মিলবে স্বস্তি?
সূত্রের খবর, বিদায় নিয়েছে বর্ষা। অর্থাৎ, পুজোর সময় মহানন্দে দিন রাত কাটবে। যেমন ইচ্ছা সাজুগুজু করা যাবে, খাওয়া, ঘোরা সব সম্ভব। গোটা বাঙালির কাছে এটা মস্ত বড় সুখবর হলেও, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত জারি থাকবে।
দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে কোনো বৃষ্টির সম্ভবনা নেই। তবে উত্তরবঙ্গ জুড়ে আগামী পাঁচদিন ধরে চলবে ভারী বৃষ্টিপাত। সূত্র বলছে, উত্তরবঙ্গের উপরের পাঁচটি জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টি হবে আগামী কিছু দিন, এবং কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।