Hoop PlusTollywood

Basanti Chatterjee: অসুস্থতায় পাশে দাঁড়ায়নি পরিবার, এখন কেমন আছেন বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়!

দু সপ্তাহের বেশি হয়ে গিয়েছে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বাসন্তী চট্টোপাধ্যায় (Basanti Chatterjee)। গুরুতর অসুস্থ হয়ে দমদমে এক নার্সিং হোমে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। দু বার ক্যানসারকে হারিয়ে জীবন স্রোতে ফিরেছেন বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি আরো কিছু অসুস্থতা রয়েছে তাঁর। ওই শারীরিক অসুস্থতা নিয়েই শুটিং করছিলেন তিনি। আচমকাই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় তাঁর। তারপরেই তড়িঘড়ি নার্সিং হোমে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। এখন কেমন আছেন বাসন্তী দেবী?

দমদম স্টেশন সংলগ্ন একটি ছোট নার্সিং হোমে ভর্তি রয়েছেন বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অনস্ক্রিন ছেলে অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, আগের থেকে অনেকটাই ভালো আছেন বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়। চিকিৎসকের তরফে জানানো হয়েছে, যদি সব ঠিকঠাক থাকে তাহলে বৃহস্পতিবারই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে। পরিচারিকার কাছেই যত্নে থাকবেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। তবে কবে তিনি কাজে ফিরতে পারবেন তা ঠিক নেই।

এর আগে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বাসন্তী দেবীর জন্য সাহায্য চেয়ে ভাস্বর জানিয়েছিলেন, অভিনেত্রীর পারিবারিক অবস্থা সচ্ছল নয়। ক্যানসার ছাড়াও নানা ধরণের অসুস্থতা রয়েছে তাঁর। কিডনি এবং হার্টের সমস্যা নিয়ে আইসিইউতে ভর্তি করাতে হয়েছিল তাঁকে। অসুস্থতার জন্য বছরে বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাঁকে। পোস্টে ভাস্বর জানিয়েছিলেন, তাঁরা নিজেদের মতো চেষ্টা করছেন, কেউ চাইলে বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়ের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য করতে পারেন। অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের উদ্যোগে সিনেটেলের তরফে বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ের হাতে তাঁর চিকিৎসা বাবদ ২৫ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে জানা গিয়েছে।

এর আগে জানা গিয়েছিল, অসুস্থতার সময়ে বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর পরিবার নাকি তাঁর পাশে নেই। জানা গিয়েছে, তাঁর প্রাক্তন গাড়ির ড্রাইভার মলয় চাকীই নাকি তাঁকে ভর্তি করিয়েছিলেন। তিনিই নাকি সমস্ত দায়দায়িত্ব পালন করছেন। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথাবার্তাও বলছেন তিনিই। তবে শোনা গিয়েছে, এবারে নাকি নিয়মিতই তাঁকে হাসপাতালে দেখতে আসছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর ছেলে বৌমা এবং জামাই।

whatsapp logo

Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই