Home Shorts Videos Gallary Join
প্রথম পাতা খবর বিনোদন OTT ওয়েব সিরিজ লাইফস্টাইল তথ্য প্রযুক্তি

Weather Update: কাল সকাল থেকেই দুর্যোগের আশঙ্কা! বজ্রবিদ্যুৎ, ঝোড়ো হাওয়ায় বিপর্যস্ত হতে পারে দক্ষিণবঙ্গ

রাজ্যজুড়ে আবারও বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কা। ভারতের আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ৭ জুলাই থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এর পেছনে মূল কারণ দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ। এই নিম্নচাপ উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ—দু’টি অঞ্চলকেই প্রভাবিত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায়—যেমন মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, হাওড়া, দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা—ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি পর্যন্ত হতে পারে, যা স্বাভাবিক জনজীবনে প্রভাব ফেলতে পারে।

শুধু দক্ষিণবঙ্গেই নয়, উত্তরবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চলগুলিও রয়েছে ঝুঁকির তালিকায়। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কালিম্পং জেলার জন্যও বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাহাড়ি অঞ্চলে এই ধরনের আবহাওয়া ভূমিধসের আশঙ্কাও বাড়িয়ে তোলে। এদিকে আগামী সপ্তাহে, অর্থাৎ ৯ জুলাই এবং ১২–১৩ জুলাই আবারও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এই কয়েকদিন রাজ্যবাসীদের সতর্ক ও প্রস্তুত থাকতে হবে। অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ, ট্রেন ও বাস চলাচল, জল জমার সমস্যা—সবকিছুর দিকেই বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।

 প্রায়শই জিজ্ঞাস্য প্রশ্ন (FAQs)

১. আজ কেন বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে?
→ দক্ষিণবঙ্গে নিম্নচাপের প্রভাবে বজ্রবিদ্যুৎ ও ঝোড়ো হাওয়া সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

২. কোন জেলাগুলোতে ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে?
→ মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, হাওড়া, দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা—এইসব জেলায় ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি।

৩. উত্তরবঙ্গেও কি ঝড়ো হাওয়ার বিপদ আছে?
→ হ্যাঁ, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কালিম্পং-এ সতর্কতা জারি হয়েছে।

৪. ভবিষ্যতের দিনগুলোতে আরও বৃষ্টিপাত হবে?
→ হ্যাঁ, ৯ ও ১২–১৩ জুলাই আবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

৫. সাধারণ মানুষের কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত?
→ বাইরে অপ্রয়োজনীয় বেরোনো এড়ানো, ছাতা বা রেইনকোট ব্যবহার এবং স্থানীয় বিপর্যয় ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা জরুরি।