২০২৫-এর বাজারে এক নতুন বিপ্লবের ইঙ্গিত মিলেছে—এই বিপ্লবের নাম Work-from-Home Business Boom। চাকরি না পেলে হতাশ হওয়ার দিন এবার শেষ। ইন্টারনেট ও সৃজনশীলতা সঙ্গে থাকলে এখন ঘরে বসেই গড়ে তোলা সম্ভব লাভজনক ব্যবসা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, চলতি বছরে অন্তত ৪০টিরও বেশি এমন ওয়ার্ক-ফ্রম-হোম ব্যবসার ধারণা সামনে এসেছে, যেগুলোর জন্য প্রয়োজন নেই বিশাল অফিস বা বড় লগ্নির। অনলাইন টিউশন, ফ্রিল্যান্স কনটেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, সাবস্ক্রিপশন বক্স সাপ্লাই—সবই সফল ব্যবসার পথ দেখাচ্ছে আজকের তরুণ প্রজন্মকে।
বিশ্লেষণ বলছে, ২০২০ সালে ভারতে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৫ মিলিয়ন। ধারনা করা হচ্ছে, ২০২৯–৩০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ২.৩৫ কোটিতে পৌঁছাতে পারে। এমনকি, ভারতের ৯৭% কর্মী ও ৯৮% নিয়োগকর্তা হাইব্রিড ও হোম-ওয়ার্ক মডেলকেই ভবিষ্যতের কর্মসংস্থান হিসেবে মান্যতা দিচ্ছেন। ফলে বাড়ছে ঘরে বসে কাজ করার প্রতি আগ্রহ। সারা ভারতে ১৫টির বেশি সহজ ব্যবসার মডেল ইতিমধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে, যেগুলো কম বিনিয়োগে শুরু করা যায়। একটি ল্যাপটপ, ইন্টারনেট সংযোগ আর কিছু নির্দিষ্ট দক্ষতা থাকলেই তৈরি হয়ে যেতে পারেন নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে। বিশেষত মহিলারা ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা এই ধরনের উদ্যোগে ঝুঁকছেন বেশি। কারণ এতে সময়ের ফ্লেক্সিবিলিটি রয়েছে, পাশাপাশি পরিবার বা পড়াশোনার দায়িত্বের মধ্যেও আয় করা সম্ভব।
প্রশ্নোত্তর বিভাগ
১. ওয়ার্ক‑ফ্রম‑হোম ব্যবসা কী?
এটি এমন একটি ব্যবসা যার পরিচালনা সম্পূর্ণ ভার্চুয়ালি হয়। ফ্রিল্যান্স লেখা, ডিজাইন, অনলাইন টিউশন, ট্রান্সক্রিপশন—সবই এর আওতায় পড়ে।
২. এই ব্যবসা শুরু করতে কী কী লাগবে?
সাধারণত একটি কম্পিউটার, ইন্টারনেট কানেকশন ও প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার থাকলেই শুরু করা যায়। বিনিয়োগ তুলনামূলকভাবে কম।
৩. কোন কোন খাত সবচেয়ে জনপ্রিয় এখন?
টিউশন, কনটেন্ট রাইটিং, ডিজাইন, সোশ্যাল মিডিয়া কনসাল্টিং এবং সাবস্ক্রিপশন বক্স ডেলিভারি সবচেয়ে বেশি চাহিদাসম্পন্ন।
৪. ফ্রিল্যান্সিং-এর চাহিদা বাড়ছে কেন?
সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের ফলে বহু মানুষ চাকরির পরিবর্তে নিজের কাজকে বেছে নিচ্ছেন। সময়ের নিয়ন্ত্রণ ও স্বাধীনতার কারণে এটি জনপ্রিয় হচ্ছে।
৫. হাইব্রিড কাজের মডেল কীভাবে বদল আনছে চাকরির বাজারে?
হাইব্রিড মডেল মানুষকে নিজের মতো করে সময় ভাগ করে কাজ করতে দিচ্ছে, যার ফলে কর্মী সন্তুষ্টি ও উৎপাদনশীলতা—দুই-ই বাড়ছে।
২০২৫ সাল নিঃসন্দেহে ভারতের স্বনির্ভরতার নতুন অধ্যায় লিখতে চলেছে। সঠিক দিশা ও সামান্য পরিশ্রম থাকলে, ঘরে বসেই গড়ে তোলা যেতে পারে ভবিষ্যতের সফল ব্যবসা। এটি শুধু আয় নয়, বরং আত্মবিশ্বাস এবং স্বাধীনতার পথও খুলে দিচ্ছে লক্ষ লক্ষ ভারতীয়র জন্য।