whatsapp channel
Hoop Story

বড়িশা ক্লাবের পুজোয় ফুটে উঠল পরিযায়ী শ্রমিকের রূপ, আসল শিল্পীই প্রচারের আড়ালে

করোনাভাইরাসের আবহে হঠাৎ করে দেশে লকডাউন হওয়ার জন্য করুণ পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন একদল পরিযায়ী শ্রমিক। নিজের ভিটেমাটি ছেড়ে অন্য জায়গায় গিয়েছিলেন দুমুঠো ভাতের জন্য। কিন্তু হঠাৎ করে লকডাউন ঘোষণা করায় সবচেয়ে অসুবিধায় পড়ে ছিলেন তারা। স্ত্রী সন্তানকে কাঁধে নিয়ে মাইলের পর মাইল হেঁটে নিজের গন্তব্যে পৌঁছেছেন। অবশেষে সেই সমস্ত পরিস্থিতি খানিকটা কাটিয়ে উঠে বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গোৎসব এর আয়োজন। তবে এবার মাতৃমূর্তিতেও এক পরিযায়ী মাকে ফুটিয়ে তুললেন শিল্পী।

কলকাতার বড়িশা ক্লাব এর এবারে মাতৃমূর্তি একজন পরিযায়ী মা। সে তার সন্তানকে নিয়ে একেবারে মাতৃরূপ ধারণ করে দাঁড়িয়ে আছেন। এর জন্য শিল্পী পল্লব ভৌমিক কে কুর্নিশ জানাতে হয়। নির্মাণকার্য শেষ করেছেন মাত্র দু মাসের মধ্যে। কয়েকদিন ধরেই এই প্রতিমার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। কিন্তু এই প্রতিমার রূপের সৃষ্টি যে অনেক আগেই অন্য এক মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছিল তা হয়তো অনেকেরই অজানা। ১৯৮৯ সালে শিল্পী বিকাশ ভট্টাচার্যের ‘দর্পময়ী মা’ নামে একটি ছবির থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে মূর্তিটি গড়েছেন এই শিল্পী পল্লব ভৌমিক। তবে বিকাশ ভট্টাচার্যের নাম এখনো প্রচার এর আড়ালেই থেকে গেছে।

তবে শুধুমাত্র প্রতিমাই নয়, বড়িশা ক্লাবের এই পূজোর প্যান্ডেলেও রয়েছে নতুনত্ব। সব মিলিয়ে কলকাতার পুজোয় খানিকটা ভাঁটা পড়লেও উৎসব প্রেমী বাঙালিরা দূর্গাপুজো কে উপেক্ষা করে করোনাকে ভয় পেয়ে বাড়িতে থাকবেন এমনটা হওয়া সম্ভব নয়। তবে দূর্গাপূজা নিয়ে চিকিৎসকদের কপালে বেশ ভাঁজ পড়েছে। কারণ করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে একমাত্র উপায় হলো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কিন্তু এই উৎসবের সময় যে রকম ভাবে কাতারে কাতারে মানুষের ভিড় হয় সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কতটা সম্ভব তা চিকিৎসকের মনে প্রশ্ন তৈরি করছে।

whatsapp logo