বিয়ের পর একাধিক প্রেমে আসক্ত হয়েছেন বলিউডের তাবড় তাবড় অভিনেতারা। যার প্রভাব পড়েছে বিবাহিত জীবনে। রাজেশ খান্না, রাজ কাপুর, দিলীপ কুমার প্রথম সারির অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম। এদের জীবনে নারীদের আসা-যাওয়া নিয়ে গল্পও কম হয়নি। জেনে নিন এদের কিছু না জানা কাহিনী।
১) রাজেশ খান্না: বলিউডের পুরনো দিনের চলচ্চিত্রের একসময়ের নামকরা অভিনেতা রাজেশ খান্না। তবে ব্যক্তিগত জীবনেও এসেছে অনেক নারী। সম্পর্কের টানাপোড়েনে বিবাহিত জীবনে ও নানা প্রভাব পড়েছে। ১৯৬০ সালে ফ্যাশন ডিজাইনার অঞ্জু মহেন্দ্র এর সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন রাজেশ খান্না। ভালোবাসা প্রায় সাত বছর স্থায়ী ছিল। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর তারা ১৭ বছর কোনরকম কথাই বলেননি। ১৯৭৩ সালে ‘ববি’ মুক্তি পাওয়ার ৬ মাস আগেই ডিম্পল কাপাডিয়া রাজেশ খান্নাকে বিয়ে করেন। তবে তারা আলাদাই থাকতেন কিন্তু রাজেশ খান্নার মৃত্যু কাল অব্দি ও তারা বিবাহ-বিচ্ছেদের দিকে অগ্রসর হননি। এ প্রসঙ্গে চলচ্চিত্র প্রতিবেদক দীনেশ রাহেজা বলেন রাজেশ ডিম্পল এর মধ্যে তিক্ততাপূর্ন সম্পর্ক থাকলেও বিভিন্ন অনুষ্ঠান পার্টিতে তাদেরকে এক সঙ্গেই দেখা যেত।
১৯৮০ সালে অভিনেত্রী টিনা মুনিম এর সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন রাজেশ খান্না। কিন্তু বিয়ের প্রস্তাব অগ্রাহ্য করলে টিনা মুনিম উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের জন্য চলচ্চিত্র জগৎ ত্যাগ করে ক্যালিফোর্নিয়া চলে যান।
২) দিলীপ কুমার: বলিউডের পুরনো দিনের অভিনেতাদের মধ্যে প্রথম সারির আরেকজন অভিনেতা হলেন দিলীপ কুমার। অভিনয়ে জনপ্রিয়তা অর্জনের পাশাপাশি তার জীবনে এসেছে অনেক নারী। এ নিয়েও তিনি বহুবার গসিপের মধ্যমণি হয়েছেন। প্রথমে অভিনেত্রী কামিনি কৌশল এর সাথে তিনি প্রেমে পড়েন তবে বিয়েটা শেষ পর্যন্ত হয়নি। তার পরে আবারো প্রেমে পড়েন অভিনেত্রী মধুবালার। মধুবালার সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেও বিয়েটা শেষ পর্যন্ত হয়নি।
অবশেষে নিজের থেকে ২২ বছরের ছোট অভিনেত্রী সায়রা বানু কে বিয়ে করেন। তবে এখানেই শেষ নয় পরে দ্বিতীয়বারের মতো আসমা নামের এক মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। তবে সেই সংসারও বেশি দিন টেঁকেনি।
৩) গুরুদত্ত: পঞ্চাশের দশকে একাধারে পরিচালক-চিত্রনাট্যকার প্রযোজক এবং অভিনেতা ছিলেন গুরুদত্ত। তবে তার জীবনেও প্রেম এসেছিল। একবার নয় একাধিকবার। বিয়ে করেছিলেন বিখ্যাত গায়িকা গীতা দত্ত কে। কিন্তু বিয়ের তিন বছরের মাথাতেই গুরুদত্ত সঙ্গে পরিচয় হয় ওয়াহিদা রহমান এর। তারপরে অনেকগুলি ছবিতেই তিনি গুরু দত্তের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন। প্রেমের শুরুটা সেখান থেকেই। ওয়েহিদার রূপে গুণে মুগ্ধ হয়েছেন গুরুদত্ত। আর এই পরকীয়া প্রেমের ঝড় উঠে দাম্পত্য জীবনে। অবশেষে গীতা দত্ত ত্যাগ করেন গুরু দত্ত কে।
বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি তবে তারা আলাদা থাকতেন। তবে গুরুদত্ত একাধারে ওয়াহিদা রহমান এবং তার স্ত্রী গীতা দত্ত দুজনকে ভালোবাসতেন। কিন্তু এমন টানাপোড়েনের মাঝে যাতে তাদের বিবাহিত জীবনে কোনভাবেই না প্রভাব পড়ে সেজন্য ওয়াহিদা রহমান তাদের জীবন থেকে সরে এসে ছিলেন। তবে শেষপর্যন্ত গুরুদত্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। তবে আত্মহত্যা নাকি অন্যকিছু এই নিয়ে আজও ধোঁয়াশা রয়েছে।