টলিউডের কালজয়ী অভিনেতাদের তালিকায় যার না উপরের সারিতে থাকে, তিনি হলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)। বর্তমানে তার মতো অভিনেতা বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যে কেউ নেই, তা একবাক্যে স্বীকার করে নেন সকলেই। কেরিয়ারের শুরুতে বাণিজ্যিক ছবিতে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন তিনি। একাধিক নায়িকার সঙ্গে জুটি বেঁধে অনেক ‘হিট’ ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। তবে সময়ের সঙ্গে নিজেকে বদলেছেন এই অভিনেতা। অনেক গবেষণামূলক চরিত্রে নিজেকে উপস্থাপিত করে দর্শকদের মধ্যে একটা অন্য ইমেজ তৈরি করেছেন নিজের। বর্তমানে অভিনয় জগতের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত আছেন তিনি।
তবে টলিউডের এই প্রবাদপ্রতিম অভিনেতার কেরিয়ার নিয়ে যত না আলোচনা হয়, তার থেকে বেশি আলোচনা হয় তার বাস্তব জীবনে নিয়ে। কারণ তিনি বাস্তব জীবনে একাধিকবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। জীবনে একাধিক নারীসঙ্গ উপভোগ করেছেন অভিনেতা। আর এই নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে যেমন আলোচনা চলে, তেমনই আবার এই বিষয়টি নিয়ে কাটাছেঁড়া চলে দর্শকদের মধ্যেও। এবার এই নিয়ে তাকে সরাসরি প্রশ্ন করে বসলেন আরেক অভিনেত্রী।
কিছুবছর আগে জি-বাংলার টক-শো ‘অপুর সংসার’-হাজির হয়েছিলেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী (Sudipta Chakraborty)। নানা কথার মাঝে অনুষ্ঠানের সঞ্চালক শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (Saswata Chatterjee) অভিনেত্রীকে জিজ্ঞেস করেন যে তিনি যদি বিনোদন জগতের সাংবাদিক হতেন তাহলে অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে কি প্রশ্ন করতেন। আর এই প্রশ্ন শুনেই অভিনেত্রী মশকরা করে বলেন, “বুম্বাদা’কে জিগ্যেস করতে পারি এতগুলো বিয়ে আপনি ঠান্ডা মাথায় সামলালেন কীভাবে!” এরপর প্রসেনজিতের নকল করে বলেন, “থাকলেই বলে উঠত দুষ্টু, বড্ড বড় হয়ে গিয়েছিস না!” এরপর হাসির রোল ওঠে গোটা মঞ্চে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালে প্রথমবার সাতপাকে বাঁধা পড়েন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সেবার তিনি বিয়ে করেন দেবশ্রী রায়কে। তবে সেই বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। কিছু সময় পরেই বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে দুজনের।তারপর ১৯৯৭ সালে আবার অপর্ণা গুহঠাকুরতাকে বিয়ে করেন অভিনেতা। সেই বিয়েও ভেঙে যায় ৫ বছর পর। বর্তমানে অর্পিতা পালের সঙ্গে সংসার করছেন অভিনেতা। তাঁদের একমাত্র ছেলে মিশুক ওরফে তৃষাণজিৎ চট্টোপাধ্যায় কিছুদিনের মধ্যে নবাগত অভিনেতা হতে পারেন টলি ইন্ডাস্ট্রিতে।