Partha Chatterjee: নাকতলার ওই ফ্ল্যাটেই চলত কুকীর্তি, পার্থর বাড়ি নিয়ে চমকে দেওয়ার মতো তথ্য দিল CBI
বিগত বছর থেকেই গারদের আড়ালে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। নিয়োগ দুর্নীতিতে জেরবার হয়েছে তার রাজনৈতিক কেরিয়ার। ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর বাড়িতে টাকা উদ্ধার নিয়েই গ্রেপ্তার হতে হয়েছিল তাকে। এই নিয়ে আলোড়ন পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতেও। মুহুর্মুহু চলেছে তদন্ত। কখনো সিবিআই, কখনো ইডি, বারবার নানা জেরায় উঠে এসেছে নানা তথ্য। সংশোধনাগার থেকে আদালত- নানা চক্কর কাটতে হয়েছে তাকে এই কয়েকমাসে। আদালতে একাধিকবার হেনস্থাও হতে হয়েছে একসময়ের দুঁদে রাজনীতিবিদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
সব ঘটনার সূত্রপাত ঘটে গতবছর জুলাই মাসে। সেই মাসেই রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের দায়ভার গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। এর মধ্যে গতবছরের ২২ শে জুলাই তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। সেখানে তাকে জেরার মাধ্যমে অর্পিতার (Arpita Mukherjee) সূত্র পায় তারা। অর্পিতার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে কোটি কোটি টাকার সন্ধান পান গোয়েন্দারা। সেখান থেকে নগদ ২১ কোটি টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। সেই টাকা উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। গ্রেপ্তার করা হয় অর্পিতাকেও। পরে অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকেও টাকা উদ্ধার করা হয়। পাওয়া যায় ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা।
আর তারপরই মুহুর্মুহু চলে জেরা, জিজ্ঞাসাবাদ। এর মাঝেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক প্রভাবশালীকেও গ্রেফতার করা হয়। আর এবার আদালতে বিচারকের সামনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়ি প্রসঙ্গে এক চমকে দেওয়ার মতো তথ্য দিলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আইনজীবী গত শুনানির সময় দাবি করেন যে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতেই নাকি তৈরি হত টাকা নিয়ে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের তালিকা। আর সেই কাজের তদারকি থেকে শুরু করে তালিকায় শেষ সিলমোহর নাকি দিতেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী নিজেই।
উল্লেখ্য, গত শুনানির দিনেও শারীরিক অসুস্থতার কথা বলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। এদিন আদালতে দাঁড়িয়ে পার্থ এক সহকারীর আবেদন করেন। তিনি বলেন, “আমার শরীর ভাল যাচ্ছে না, অ্যাসিস্ট্যান্ট থাকলে ভাল হয়। দিনের পর দিন শরীর খুব খারাপ হয়ে যাচ্ছে। জেলে যদি একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট দেওয়া যায়।” যদিও তার এই আবেদনে সাড়া দিয়ে বিচারক সাফ জানিয়ে দেন যে এই বিওয়টি সম্পূর্ণভাবে জেল কর্তৃপক্ষের হাতে রয়েছে।