Ration Rule: অযোগ্য হয়েও বিনামূল্যে রেশন নিচ্ছেন! সরকারের তদন্তে ধরা পড়লেই হতে পারে জেল
দেশে খাদ্যাভাব দূর করতে রেশন ব্যবস্থার সূচনা ঘটে স্বাধীনতার পরেই। আর রেশন কার্ড রয়েছে এমন প্রত্যেক ব্যক্তি মাসে মাসে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যশস্য পেয়ে থাকেন। কোনো কোনো নাগরিক কম দামে কিনতে পারেন রেশন, আবার কাউকে বিনামূল্যে রেশন দিয়ে থাকে সরকার। দেশের রেশন ব্যবস্থা চালু রাখতে বেশ কিছু অনুমোদিত দোকান থেকে এই রেশন প্রদান করা হয় গ্রাহকদের। এক্ষেত্রে কার্ড অনুযায়ী নির্ধারিত খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয় স্থানীয় রেশন শপ থেকে।
করোনাকালীন সময়ে কেন্দ্র সরকারের তরফে দেশরর খাদ্যাভাব দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়া মোদি সরকার। ২০২০ সালে দ্বিগুন রেশন সামগ্রী বিনামূল্যে দেওয়া শুরু করে কেন্দ্র। আর সেই থেকেই এই বিষয়টিকে বর্ধিত করে আসছে কেন্দ্র। আর ফের একবার এই সুবিধার বর্ধিতকরণের ঘোষণা করেছে সরকার। জানা গেছে, আরো ৩ মাস মিলবে এই সুবিধা। অর্থাৎ ডিসেম্বর অবধি নাগরিকরা এই সুবিধা পেতে চলেছেন। যার অর্থ হল ডিসেম্বর অবধি বিনামূল্যে রেশন দেবে মোদি সরকার।
তবে বর্তমানে এমন অনেকেই রয়েছেন, যারা এই ফ্রি-রেশন পাওয়ার যোগ্য নন, কিন্তু তা সত্ত্বেও রেশন পেয়ে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে রেশন পাওয়ার যোগ্যতা এমন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে সরকার। কিন্তু করা যোগ্য নন এই প্রকল্পের? এক্ষেত্রে ২০১৫ সালের খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী, যাদের ১০০ স্কোয়ার মিটারের একটি প্লট বা ফ্ল্যাট বা বাড়ি থাকবে, এবং যাদের কাছে একটি দুচাকা বাইক বা গাড়ি বা ট্রাক্টরনা অস্ত্রের লাইসেন্স থাকে তারা বিনামূল্যে রেশন পাওয়ার যোগ্য নন। এছাড়াও গ্রামে বসবাসকারী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বার্ষিক ২ লক্ষ এবং শহরে বসবাসকারী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বার্ষিক ৩ লক্ষ টাকার বেশি রোজগার করলেও মিলবে না বিনামূল্যে রেশন।
এবার যদি এখনও কোনো অযোগ্য ব্যক্তি এই সুবিধা পেয়ে যাচ্ছেন, তাদের অবিলম্বে তাদের রেশন কার্ড সমর্পণ করা দরকার। কারণ সম্প্রতি, এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সরকার। তাই যদি কোনো অযোগ্য ব্যক্তি তার রেশন কার্ড সমর্পণ না করে বিনামূল্যে রেশন নিয়ে থাকেন, তাহলে তোদিনটের পর খাদ্য দফতর তার রেশন কার্ড বাতিল করতে পারে। এছাড়া ওই অযোগ্য রেশন কার্ড হোল্ডারের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে বলে খবর। স্থানীয় খাদ্য দফতরে গিয়ে এই রেশন কার্ড সমর্পণ করা যাবে।