নাচের জাদুতে সব সীমা অতিক্রম করলেন রচনা তিওয়ারি, বাচ্চাদের সামনে দেখবেন না
রচনা তিওয়ারি (Rachna Tiwari)-র কাছেও ক্রমশ একঘেয়ে হয়ে উঠেছে খোলা মঞ্চে পুরুষ দর্শকদের সামনে টাইট সালোয়ার-কামিজ পরে হরিয়ানভি বা রাগনী নৃত্য পরিবেশন। রচনা যদিও তাঁর গায়ে জল ঢেলে ‘ওয়েট ডান্স’-এর জন্য বিখ্যাত, তবুও শীতকালে অথবা সব মঞ্চে এই ধরনের নাচ প্রযোজ্য নয়। ফলে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে রচনাও খুলে ফেলেছেন নিজের ইউটিউব চ্যানেল। এই চ্যানেলের নাম ‘রচনা তিওয়ারি সোনোটেক’। এই ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে রচনা শুধুমাত্র নিজের নাচই নয়, প্রোমোট করেন অন্য শিল্পীদেরও। চলতি বছরের 23 শে জুন রচনা তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে নিজের একটি ডান্স ভিডিও পোস্ট করেছিলেন।
ভিডিওটি কোনো খোলা মঞ্চে নাচের অনুষ্ঠানের নয়। এই ভিডিওতে স্টুডিওয় নাচ করেছেন রচনা। ব্যাকগ্রাউন্ডে রয়েছে রাজকীয় ঘরের সেট। রচনার পরনে রয়েছে মেটালিক সিলভার কামিজ ও লাল রঙের পাতিয়ালা সালোয়ার। ‘চোখি লাগে সে’ গানের সাথে নেচেছেন রচনা। এই গানটি গেয়েছেন দীনেশ রাইসওয়াল (Dinesh Raiswal)। গানটি রাজস্থানি ভাষায় গাওয়া। নাচের সময় ক্লিভেজ শো-অফ করেননি রচনা। নেই কোনো অশালীন ভঙ্গিমা। শুধুমাত্র নৃত্যশৈলীর মাধ্যমে নিজেকে উপস্থাপিত করেছেন তিনি। কিন্তু অত্যন্ত অদ্ভুত বিষয় হল, এত ভালো নাচার পরেও রচনার ভিডিওর ভিউ মাত্র এগারো হাজার। কমেন্ট সেকশনেও নেটিজেনদের বিশেষ মন্তব্য চোখে পড়ে না। প্রকৃতপক্ষে, এখনও অবধি অনেকেই মনে করেন, হরিয়ানভি নৃত্যশিল্পীরা অশালীন নাচ ছাড়া কিছুই পারেন না।
অথচ রচনা যখন নিজেকে জলে ভিজিয়ে খোলা মঞ্চে নাচেন, সেই ভিডিওগুলির ভিউ লক্ষ ছাড়িয়ে যায়। অর্থাৎ রচনার মতো শিল্পীদের এখনও অবধি ‘সেক্স অবজেক্ট’ হিসাবে দেখার প্রবণতা রয়ে গিয়েছে। রচনা হরিয়ানভি নাচের সাথে মিশ্রণ ঘটিয়েছেন কনটেম্পোরারি নৃত্যশৈলীর।
রচনার আবির্ভাবে অনেকেই মনে করেছিলেন, সপনা চৌধুরী (Sapna Choudhary)-র রাজত্ব শেষ হয়ে যেতে চলেছে। কিন্তু সপনা ও রচনা দুইজনেই নিজেদের স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরি করেছেন।