Hoop Life

ঘরের মধ্যেই পাবেন ভরপুর অক্সিজেন, মাত্র কয়েক ঘন্টায় ঘরের বাতাস পরিশুদ্ধ করে এই গাছ

সময় এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হচ্ছে। অধিকাংশ জিনিস প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে ওঠাতে বিজ্ঞান আশীর্বাদ স্বরূপ হয়ে উঠেছে। কিন্তু এর নেতিবাচক দিকটাও উপেক্ষা করার মতো নয়। বিজ্ঞানের জয়গান করতে গিয়ে পরিবেশে দূষণ (Environment Pollution) যে অনেকাংশে বেড়ে চলেছে তা অস্বীকার করতে পারবেন না কেউ। বেশিরভাগটাই ঘটছে মানুষেরই গাফিলতির জন্য। বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ কমছে। এমনটা চলতে থাকলে শিশু, বয়স্ক এবং অসুস্থদের পাশাপাশি সঙ্কটের মুখে পড়বে সুস্থ মানুষও। পরিবেশ বাঁচাতে প্রথমে আগে নিজের বাড়ি থেকেই শুরুটা করা উচিত। নিজের বাড়িতেই সবুজের পরিমাণ বাড়িয়ে বাতাসে অক্সিজেনের মাত্রা সঠিক রাখা সম্ভব। এক্ষেত্রে কিছু কিছু গাছের অবদান অনস্বীকার্য।

জেড প্ল্যান্ট– এই প্রতিবেদনে এমন কিছু ইনডোর প্ল্যান্টের খোঁজ রইল যেগুলো অত্যন্ত কম খরচে বাড়ির অন্দরের পরিবেশ করে তুলবে সুস্থভাবে বাঁচার অনুকূল। এমনি একটি গাছ হল জেড প্ল্যান্ট। এটি যেমন বাতাসের ক্ষতিকারক উপাদান শোষণ করে, তেমনি ফেং শুই বলে বাড়িতে জেড প্ল্যান্ট রাখা খুব শুভ।

জেড প্ল্যান্ট

আরেকা পাম– ইনডোর প্ল্যান্টের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় নাম এটি। মাঝারি আকারের হয় আরেকা পাম । এই গাছ ঘরের শোভা বর্ধন করার পাশাপাশি দূষিত বায়ু থেকে ক্ষতিকারক উপাদান শোষণ করে বায়ু পরিশোধন করে। তেমনি আবার ঘর ঠাণ্ডা করতেও সাহায্য করে এই গাছ।

আরেকা পাম

স্নেক প্ল্যান্ট– অনেকেই লিভিং রুম, বেডরুমের সাজসজ্জায় যোগ করে থাকেন এই গাছ। পাতার আকারের জন্য গাছটির এমন নাম রাখা হয়েছে। এর গুণও রয়েছে। স্নেক প্ল্যান্ট বাতাস থেকে ট্রাইক্লোরোথাইলিন ফর্ম্যাল ডিহাইডের মতো ক্ষতিকর উপাদান শোষণ করে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ায়। একটি স্নেক প্ল্যান্ট প্রায় ২০০ বর্গমিটার পর্যন্ত জায়গায় বাতাস পরিশুদ্ধ করার ক্ষমতা রাখে। উপরন্তু এই গাছে জলীয় উপাদান বেশি থাকে। তাই স্নেক প্ল্যান্ট ঘরে রাখলে আপনা থেকেই ঘর হবে ঠাণ্ডা।

স্নেক প্ল্যান্ট

অ্যালোভেরা– নয়টি এয়ার পিউরিফায়ারের সমান কাজ করে একটি অ্যালোভেরা গাছ। বাড়িতে অ্যালোভেরা গাছ রাখলে বাতাস থেকে দূষিত পদার্থ শোষণ করে বাতাসকে পরিশুদ্ধ করে। শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য বাড়িতে অ্যালোভেরা গাছ রাখা খুব উপকারী।

অ্যালোভেরা

তুলসি– তুলসি গাছকে পবিত্র মেনে পুজো করা হয় হিন্দু বাড়িতে। তুলসি পাতা অনেক রোগ সারাতেও কাজে লাগে। তবে এখানেই শেষ নয়। কার্বন ডাইঅক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইডের মতো ক্ষতিকর যৌগ বাতাস থেকে টেনে পরিশোধন করতে তুলসি গাছের জুড়ি মেলা ভার।

তুলসি

মানি প্ল্যান্ট– ইনডোর প্ল্যান্ট গুলির মধ্যে জনপ্রিয়তার নিরিখে প্রথম দিকেই নাম থাকবে মানি প্ল্যান্টের। ফর্ম্যাল ডিহাইড, বেঞ্জিনের মাত্রা কমিয়ে ঘরের বাতাস পরিশুদ্ধ করে এই গাছ। পাশাপাশি ফেং শুই মতে, মানি প্ল্যান্ট বাড়িতে রাখাও খুব শুভ।

মানি প্ল্যান্ট

পিস লিলি– সুন্দর সাদা ফুলে ভরা গাছ বাড়িতে রাখতে সকলেই পছন্দ করেন। অ্যামোনিয়া এবং ফর্ম্যালডিহাইড এর মতো দূষিত উপাদান গুলি বাতাস থেকে শোষণ করে নেয় পিস লিলি। এই গাছের অনবদ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতাকে অনুমোদন দিয়েছে নাসার মতো সংস্থা।

পিস লিলি

বাঁশ গাছ– পড়ার টেবিল বা জানলার ধার কিংবা বেডসাইড টেবিলে এই গাছ রাখলে মানসিক শান্তি মেলে। ক্ষতিকর বেঞ্জিন, টোলুইন শোষণ করে অক্সিজেন সরবরাহেও অপরিহার্য এই গাছ।

বাঁশ

জারবেরা ডেইজি– উজ্জ্বল রঙের অত্যন্ত সুন্দর প্রস্ফুটিত ফুল বাড়ির শোভা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। তেমনি আবার প্রচুর গুণ রয়েছে এই ফুলের। জারবেরা ডেইজি মাত্র ২৪ ঘন্টায় বাতাসে উপস্থিত ক্ষতিকর ফর্ম্যাল ডিহাইডের অর্ধেক শতাংশ, ৬৭ শতাংশ বেঞ্জিন এবং ৩৫ শতাংশ ট্রাইক্লোরোথাইলিন কমাতে সক্ষম।

জারবেরা ডেইজি

Related Articles