কাজের মেয়ের সাথে গোপনে ঘনিষ্ঠ হলেন বাড়ির মালিক, দরজা বন্ধ করে দেখুন এই শর্টফিল্ম
2021 সালের 8 ই মার্চ অর্থাৎ করোনাকালে ‘মাসলাইক আস পিকচার্স’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা হয়েছিল ‘মোহিনী 4’ নামে একটি বাংলা শর্ট ফিল্ম। এই শর্ট ফিল্মটি পরিচালনা করেছিলেন অভিষেক শিকদার (Avishek Shikdar), প্রমিত এ.ঘোষ (Pramit A. Ghosh)। এই শর্ট ফিল্মের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন অর্পিতা ভৌমিক (Arpita Bhowmik), সৌরভ চক্রবর্তী (Sourabh Chakraborty), স্মিতা নীল (Smita Neel), অভিজিৎ ঘোষ (Avijit Ghosh), ঋষাণ মিশ্র (Rishan Mishra)। এখনও অবধি ‘মোহিনী 4’-এর ভিউ অতিক্রম করেছে দেড় কোটির বেশি।
‘মোহিনী 4’-এর শুরুতে দেখা যায়, বিছানায় কাজের মেয়েকে শুইয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে চায় এক পুরুষ। কাজের মেয়েটি কপট রাগ দেখিয়ে বলে, বৌদি জানতে পারলে কি হবে! পুরুষটি বলে, তার স্ত্রী বাপের বাড়ি গিয়েছে। ইতিমধ্যেই শহরের একের পর এক গয়নার দোকানে ডাকাতি হতে শুরু করে। কিন্তু অপরাধীদের ধরতে পারা যায় না। এর মধ্যেই জানা যায়, বাড়ি থেকেও গয়না চুরি করছে অপরাধীরা। শহরের বিভিন্ন অভিজাত এলাকার থানাগুলিতে দায়ের হয়েছে গয়না ডাকাতির অভিযোগ। এই সময় কলকাতা শহরের একটি বাড়িতে দেখা যায়, এক গৃহবধূ একের পর এক বাসন ধুচ্ছে এবং তার স্বামীকে তিরস্কার করে বলছে, সব কাজ তাকে করতে হয় ও তার স্বামী পড়ে পড়ে ঘুমায়। স্বামীকে দেখা যায় বিছানায় শুয়ে ঘুমাতে। মহিলা খুব রেগে গিয়ে স্বামীকে ঘুম থেকে উঠিয়ে বলে, তার পক্ষে সম্ভব নয় সংসারে ঝিয়ের মতো খাটা। সে স্বামীকে বাপের বাড়ি চলে যাওয়ার হুমকি দেয়।
এর মধ্যেই তাদের বাড়িতে কাজের লোক হিসাবে আসে স্বপ্না নামে একটি বিবাহিত মেয়ে। কিন্তু বাড়ির কর্তার ঘর ঝাঁট দিতে গিয়ে স্বপ্নার বুক থেকে খসে যায় আঁচল। তার উন্মুক্ত ক্লিভেজ দেখে আকর্ষিত হয় পুরুষটি। স্বপ্না গিন্নীর কাছ থেকে বাড়ির কর্তা সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে থাকে। কথায় কথায় জানা যায়, স্বপ্নার একটি ফেক অ্যাকাউন্ট রয়েছে ফেসবুকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সে গিন্নীর গায়ে গয়না দেখলেও বাড়িতে তাকে কিছু পরতে দেখে না। ফলে তার কৌতুহল বাড়ে। এর মধ্যেই স্বামী-স্ত্রী আলোচনা করে, এতগুলি গয়না বাড়িতে রাখা ঠিক হচ্ছে না। অপরদিকে একদিন স্বপ্নার কাছে ওই বাড়িতে কাজ করার সময় ফোন আসে। সে বলে, কাজটা মনে হয় আরামসে হয়ে যাবে। স্বপ্না আলমারির উপর থেকে কিছু ফাইল নামিয়ে তা চেক করতে থাকে।
এরপর একসময় বাড়ির কর্তা স্বপ্নাকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়। বাড়ি যাওয়ার পথে স্বপ্নার সাথে একজন পুরুষের দেখা হয় যাকে সে বলে, মাল ওই বাড়িতেই আছে, সে নিশ্চিত। এরপর বাড়ির গিন্নী তার বাপের বাড়িতে গেলে স্বপ্না আলমারি খুঁজে গয়না বের করে। কিন্তু বাড়ির কর্তা এর মধ্যে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে চাইলে স্বপ্না বলে, পাঁচ মিনিটের মধ্যেই পুলিশ চলে আসবে। কারণ ওই ব্যক্তিই শহরের বুকে গয়না চুরির মূল পান্ডা। গয়নার দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ওই ব্যক্তির বাড়িতে কাজের মেয়ে সেজে প্রবেশ করে স্বপ্না। প্রকৃতপক্ষে সে একজন পুলিশ অফিসার। স্বপ্নাকে আক্রমণ করতে গেলে সে নিমেষে ধরাশায়ী করে দেয় ওই ব্যক্তিকে। ইতিমধ্যেই পুলিশ এসে যায়।