মানসিক অবসাদ ক্রমশ ঘিরে ধরছে মানুষকে। জীবনের দ্রুত গতির সাথে তাল মেলাতে না পেরে অনেকেই বেছে নিচ্ছেন আত্মহত্যার পথ। কিছুদিন আগেই একের পর এক দক্ষিণী অভিনেত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা চমকে দিয়েছে সকলকে। এবার আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশা (Tanjin Tisha)। বুধবার মাঝরাতে তিশাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, অনেকগুলি ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেলেছিলেন তিশা। এই কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তবে বৃহস্পতিবার তিশা হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। বাংলাদেশের মিডিয়া যখন সরগরম তিশার আত্মহত্যার চেষ্টার খবরে, সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি নিজেই একটি লাইভ করে সম্পূর্ণ ঘটনাটি জানান।
এদিন তিশা সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে এসে বলেন, গত দুই বছর হল পিতৃহারা হয়েছেন তিনি। তাঁর বাবা তিশাকে যথেষ্ট শক্তিশালী তৈরি করেছিলেন। কিন্তু বুধবার হঠাৎই তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার ফলে মানসিক ও শারীরিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিশা। ঘুম আসছিল না তাঁর। ফলে তিনি অনেকগুলি কড়া ডোজের ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু সেগুলি চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ ছিল না। ওষুধগুলি খেয়ে বাড়ে তিশার শারীরিক অস্বস্তি। বমি শুরু হয়। এই কারণে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাঁকে।
কিন্তু তিশার দাবি, তিনি আত্মহত্যা চেষ্টা করেননি। অথচ তাঁকে ঘিরে এই ধরনের গুজব রটেছে। ফলে তিশা যথেষ্ট ক্ষুব্ধ। বর্তমানে মুশফিক ফারহানের সাথে তিশার সম্পর্ক রয়েছে। অনেকে মনে করেছিলেন প্রেম সংক্রান্ত সমস্যার কারণে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিশা। কিন্তু তিশা এই গুজব উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছেন, যাঁরা তাঁর ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন এবং ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সমালোচনা করছেন, তাঁদের মুখোশ খুলে দেবেন তিনি।
কিন্তু প্রশ্ন হল, চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন না দেখালে কোনো ওষুধের দোকান ঘুমের ওষুধ বিক্রি করেন না। তাহলে তিশা ওই ঘুমের ওষুধ পেলেন কোথা থেকে?