বর্তমানে বলিউড ইন্ডাস্ট্রি উত্তাল রাখি সাওয়ান্ত (Rakhi Sawant) ও তাঁর দ্বিতীয় স্বামী আদিল খান দুরানি (Adil Khan Durrani)-র দাম্পত্য সমস্যা নিয়ে। মঙ্গলবার সকালে রাখিকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে আদিল গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁকে প্রথমে মুম্বইয়ের ওশিওয়ারা থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ওই দিন সন্ধ্যায় গ্রেফতার হন আদিল। আট মাস আগে রাখিকে ইসলাম ধর্মমতে বিয়ে করেছিলেন আদিল। তাঁদের কোর্ট ম্যারেজও হয়েছিল। রাখি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নাম পরিবর্তন করে হয়েছিলেন ফাতিমা খান দুরানি। কিন্তু গত সাত মাস ধরে রাখির উপর অত্যাচার চালিয়েছেন আদিল। তিনি রাখিকে রীতিমত মারধোর করেছেন। পাশাপাশি আত্মসাৎ করেছেন তাঁর প্রচুর অর্থ ও গয়না। রাখি তাঁর মা জয়া সাওয়ান্ত (Jaya Sawant)-এর মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছেন আদিলকে।
বিগ বস মরাঠিতে রাখি অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর মা আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়লে বিগ বসের ঘর থেকে ভলান্টিয়ারি এক্সিট নিয়ে রাখি পৌঁছান মায়ের কাছে। মস্তিষ্কে টিউমার ও ক্যান্সার সংক্রমণের ফলে মৃত্যু হয় জয়ার। কিন্তু এরপর থেকেই রাখির বিবাহিত জীবন কদর্য রূপ ধারণ করে। আদিল তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা তনু চান্দেল (Tanu Chandel)-এর সাথে পরকীয়ায় জড়ান ও রাখির উপর বৃদ্ধি পায় অত্যাচারের মাত্রা। শেষ অবধি সহ্য করতে না পেরে রাখি মুম্বই পুলিশের দ্বারস্থ হন। আদিল গ্রেফতার হওয়ার পর রাখি জানিয়েছেন, বারবার আদিলের পরিবার তাঁকে হুমকি দিচ্ছেন। আদিলের বাবা বলেছেন, রাখির নিরাবরণ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়া হবে।
View this post on Instagram
এমনকি রাখি জানতে পেরেছেন, আদিল আগেই তাঁর বেশ কিছু নিরাবরণ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করেছেন। এই প্রসঙ্গে মুম্বইয়ের সাইবার ক্রাইম শাখায় আদিলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন রাখি। তিনি জানিয়েছেন, বিয়ের প্রথম দিকে আদিল যখন মারধোর করতেন, তখন রাখির মা তাঁকে সহ্য করে নিতে বলেন। সকলের ধারণা ছিল, রাখি একটি সন্তান নিলে তাঁদের দাম্পত্য সমস্যার সমাধান হবে। এই কারণে একটি অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন রাখি। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পরও আদিলের অত্যাচার বন্ধ হয়নি। রাখিকে অস্ত্রোপচারের স্থানে আঘাত করেন আদিল ও তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে অন্য ঘরে নিয়ে যাওয়ার সময় রাখির প্রস্রাব হয়ে যায়।
রাখির দাদা রাকেশ সাওয়ান্ত (Rakesh Sawant) জানিয়েছেন, মায়ের মৃত্যুর দিনও রাখিকে মারধোর করেছিলেন আদিল। এমনকি রাখি নামাজ পড়ার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে কাঁচের আয়না ছুঁড়ে মারেন তিনি। অল্পের জন্য বেঁচে যান রাখি। তিনি আত্মরক্ষার কারণে আদিলকে ধাক্কা দেন। সন্দেহ করা হচ্ছে, রাখিকে হত্যা করে আদিল তাঁর সম্পত্তির মালিক হতে চেয়েছিলেন ও বিয়ে করতে চেয়েছিলেন তনুকে। এর আগেও আদিল এক মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু তাঁর সাথে আদিলের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। মাইসোর ও ব্যাঙ্গালোরে আদিলের নামে কয়েকটি ক্রিমিনাল কেস আছে বলে জানতে পেরেছেন রাখি। আন্ধেরি কোর্টে শুক্রবার আদিলের আইনজীবী জামিনের আবেদন করলেও আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
View this post on Instagram