Income Tax: আয়কর দফতরের নোটিস এড়াতে বাড়ি কেনাবেচা করার আগে পূরণ করুন এই ফর্ম
নির্দিষ্ট তারিখের আগেই করযোগ্য ব্যক্তিদের আয়কর রিটার্ন দাখিল না করা হলে করযোগ্য সেই ব্যক্তিকে নোটিস পাঠায় আয়কর দফতর। এটি ভারতীয় সংবিধানের আয়কর আইনের অধীনস্থ একটি বিশেষ নিয়ম। আর এই আয়কর দফতর থেকে পাঠানো নোটিসের ভয় কমবেশি সকলেই পেয়ে থাকেন। তবে এই বিষয়ে জেনে রাখা উচিত যে আয়কর দাখিল করলেও কয়েকটি ক্ষেত্রে কয়েকটি ভুলগু করলে নোটিস আসে আয়কর দফতর থেকে।
৩১ শে জুলাই শেষ হয়েছে আয়কর রিটার্ন ফাইলের সময়সীমা। এখনো আগামী ৩১ শে ডিসেম্বর অবধি করা যাবে বিলম্বিত আয়কর রিটার্ন ফাইল। তবে আয়কর জমা করেও একজন করদাতাকে পড়তে হতে পারে সমস্যায়। একজন করদাতা যদি তার আয়কর রিটার্নে (ITR) ভুয়ো আয়কর ছাড় দাবি করে থাকেন, তাহলে তিনি সমস্যায় পড়তে পারেন। এছাড়াও আরো বেশি কয়েকটি কারণে করদাতাকে নোটিস পাঠায় আয়কর দফতর। একনজরে দেখে নিন সেই বিষয়গুলি।
● সেভিংস অ্যাকাউন্ট ডিপোজিট: সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এক বছরে ১০ লক্ষ টাকা নগদ জমা দেওয়া যায়। তবে কোনো গ্রাহক এই সীমা অতিক্রম করে গেলেই তাকে নোটিস পাঠায় আয়কর দফতর। তবে এই নোটিস পাঠানো রুখতে জমা ও উত্তোলনের আসল কারণ আয়কর দফতরকে জানাতে হবে। কারেন্ট অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে নগদ জমা দেওয়ার সীমা ৫০ লক্ষ টাকা।
● ফিক্সড ডিপোজিট: ফিক্সড ডিপোজিটের ক্ষেত্রেও এক আর্থিক বছরে নগদ জমা দেওয়ার সীমা হল ১০ লক্ষ টাকা। কোনো গ্রাহক এই সীমা অতিক্রম করলেই নোটিস পাঠাতে পারে আয়কর দফতর।
● ক্রেডিট কার্ড বিল শোধ: ক্রেডিট কার্ডের বিল এক লক্ষ টাকার বেশি হলে তখন আয়কর দফতরকে জানাতে হবে। CBDT এই নিয়মটি চালু করেছে। এছাড়াও এক্ষেত্রে সীমা রয়েছে ১০ লক্ষ টাকার। তবে প্রতি ক্ষেত্রেই আয়কর দফতরকে জানানো বাধ্যতামূলক।
● বিনিয়োগ: মিউচুয়াল ফান্ড, স্টক, বন্ড বা ডিবেঞ্চারে বিনোয়োগের ক্ষেত্রেও একটি নির্দিষ্ট সীমা রয়েছে। এটি হল ১০ লক্ষ টাকা। এটি অতিক্রম করলেই আয়কর দফতরের নোটিস পেতে হবে।
● রিয়েল এস্টেট ক্রয়-বিক্রয়: কোনো নাগরিক যদি ৩০ লক্ষ টাকার বেশি স্থাবর সম্পত্তি ক্রয় বা বিক্রয় করেন, তবে তাকে এই বিষয়টি আয়কর দফতরকে জানাতে হবে। এক্ষেত্রে নগদ লেনদেন ফর্ম 26AS-এ রিপোর্ট করতে হয়। এমনটা না করলেই নোটিস পাঠায় আয়কর দফতর।