Pension: লাখ লাখ মানুষকে পেনশন দেবে সরকার, এই স্কিমে আবেদন করলেই বাম্পার সুবিধা
চাকুরিজীবী হোক বা ব্যবসায়ী সকলকেই একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর অবসর নিতে হয়। তবে এই অবসর জীবনের কথা ভাবা হয় কিছু কিছু সরকারি ও কিছু বেসরকারি ক্ষেত্রে। তাই চালু হয় পেনশন ব্যবস্থা। তবে এখন এই পেনশন ব্যবস্থা মোটামুটি বন্ধ হয়ে গেছে বললেই চলে। যদিও এখনও কিছু সরকারি চাকরিতে পেনশন পাওয়া যায়। বাকিগুলোতে সরকার ‘কন্ট্রিবিউটরি পেনশন স্কিম’ চালু করেছে। কিন্তু অনেকেই আছেন যারা সরকারি চাকরি করেন না। দেশে প্রাইভেট ও পাবলিক সেক্টরে কোটি কোটি মানুষ কাজ করেন। তাদের জন্য অবসরকালীন জীবনে মোটা অঙ্কের টাকা পাওয়ার পাশাপাশি বীমা কভারের সুবিধা দিয়ে থাকে প্রভিডেন্ট ফান্ড।
এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (EPFO) চালু করা হয় ১৯৭৬ সালে। বেতনভোগী সব কর্মচারীদের জন্য এই স্কিমের দরজা খোলা রয়েছে। যদিও শুরুতে শুধুমাত্র সমস্ত সংস্থাকেই এই স্কিমের আওতায় আনা হয়। তবে পরবর্তীকালে বেসরকারি কর্মীরাও এই স্কিমের আওতায় আসেন। কারণ এই স্কিমে বীমা, ভালো সুদের হার সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের সুরক্ষাও রয়েছে। আর এবার সব বেতনভুক্ত কর্মচারীদের এই স্কিমে অ্যাকাউন্ট খোলা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। অর্থাৎ এখন থেকে সব বেতনভুক্ত কর্মীই পেয়ে যাবেন এই স্কিমের সুবিধা।
এই PPF হল এমনই একটি পাবলিক ফান্ড, যেখানে কর্মরত যেকোনো নাগরিক যোগদান করতে পারে তার কর্মদাতা সংস্থার মাধ্যমে। এখানে যৌথ উদ্যোগে একটি ফান্ড গড়ে তোলা হয়, যার উপর সুদ পেয়ে থাকেন গ্রাহক। হিসেব অনুযায়ী, এই তহবিলে প্রতি মাসে একজন সরকারি বা বেসরকারী কর্মচারী, যিনি এই ফান্ডের এক গ্রাহক, তিনি তার উপার্জনের ১২ শতাংশ জমা দেন। এছাড়াও সংস্থার মালিকপক্ষও ১২ শতাংশ অবদান জমা করেন। তার মধ্যে নিয়োগকর্তার পক্ষ থেকে ৩.৬৭ শতাংশ EPF অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়। বাকি ৮.৩৩ শতাংশ যায় কর্মচারী পেনশন স্কিম বা EPS -এ।
এদিকে এই EPF-এ সুদের ইতিহাস দেখলে দেখা যায় যে বর্তমানে সর্বোচ্চ হারে এই ফান্ডের সুদ দেওয়া হচ্ছে। এর আগে ২০২১-২২ আর্থিক বছরের জন্য EPF আমানতের সুদের হার কমিয়ে ৮.১০ শতাংশ করা হয়। এটি ছিল তৎকালীন সময়ে বিগত চার দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন সুদের হার। এদিকে পরিসংখ্যানের দিকে নজর দিলে দেখা যায় যে ১৯৭৭-৭৮ সাল থেকে এটি সর্বনিম্ন সুদের হার। কারণ সেই সময় EPF-এ সুদের হার ছিল ৮ শতাংশ।