Vastu: জবা’র প্রতিকারে ঘুরে যাবে ভাগ্যের চাকা! দূর হবে গ্রহদোষ, কেটে যাবে অর্থাভাব
বহু শতাব্দী ধরে এই বাস্তুশাস্ত্র আমাদের বসতবাড়ি সাজানো গোছানোর বিষয়ে নানা তথ্য দিয়ে আসছে। বাড়ির কোথায় কোন জিনিস রাখলে, বাড়িতে লক্ষ্মীর বসবাস হয়, সেই বিষয়েও নানা মত দিয়ে থাকেন বাস্তুবিদরা। তেমনই বাড়িতে কোন গাছ লাগলে, সেই বাড়িতে সমৃদ্ধির দেবীর কৃপা বর্ষণ হয়, সেই বিষয়েও উল্লেখ রয়েছে বাস্তুশাস্ত্রে। এককথায়, আমাদের জীবনের উপর বিভিন্ন জিনিসের শুভ ও অশুভ প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হয় এই শাস্ত্রে। অনেকেই মনে করেন, এর ফলে আমাদের জীবনের পথ অনেকটা সুগম হয়ে যায়।
বাস্তুশাস্ত্র মতে, বাড়ির বাইরে ও ভেতরে বেশ কিছু গাছ রাখা হলে, তার প্রভাব পড়ে আমাদের জীবনের উপর। কারণ কিছু গাছের যেমন নেতিবাচকতা দূর করার শক্তি থাকে, তেমনই, কিছু গাছ বাড়িতে রাখা হলে দেবদেবীর কৃপালাভ হয়ে থাকে। তেমনই কিছু ইনডোর প্ল্যান্ট হল মানিপ্ল্যান্ট, জেড প্ল্যান্ট, লাকি প্ল্যান্ট, ফ্রেন্ডশিপ প্ল্যান্ট ইত্যাদি। এছাড়াও বাড়ির বাগানে আমরা অনেক গাছ রাখি, যার প্রভাবে সংসারে আসে সুখের জোয়ার। জবা হল তেমনই একটি গাছ। এখন একনজরে দেখে নিন জবা গাছ বাড়িতে রাখলে তার কি প্রভাব পড়ে।
● লক্ষ্মীর কৃপা: হিন্দুধর্মে জবা ফুল একটি ভীষণ পবিত্র ফুল। এটি শক্তির প্রতীক মা কালীর প্রিয় ফুল। তাই কালী পুজোয় জবা ফুল একটি আবশ্যিক সামগ্রী। তবে শুধুমাত্র কালী নয়, সাদা ও হলুদ জবা দেবী লক্ষ্মীর প্রিয় একটি ফুল। তাই বাড়িতে জবা ফুলের গাছ রাখলে দেবী লক্ষ্মী প্রসন্ন হন। সেই বাড়িতে থাকেন অর্থাভাব।
● হনুমানের কৃপা: হিন্দুধর্মের অনেকেই পবনপুত্র হনুমান বা বজরংবলীর ভক্ত হয়ে থাকেন। মনের ভয় দূর করতে ও অন্তর্নিহিত শক্তিকে জাগ্রত করতে এই দেবতার উপাসনা করা হয়। তবে জেনে রাখব ভালো যে লাল জবা হনুমানের অত্যন্ত প্রিয় একটি ফুল। তাই প্রতিদিন হনুমানের পায়ে লাল জবা অর্পণ করলে জীবন থেকে দূর হয় সমস্ত নেতিবাচকতা।
● গ্রহদোষ দূরীকরণ: জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে জীবনে যেকোনো গ্রহের দোষ বা খারাপ প্রভাব কাটাতে জবা ফুল ভীষণভাবে উপকারী। তাই বাড়িতে জবা ফুলের গাছ রাখা হলে মঙ্গলের দোষ দূর হয়। একইসঙ্গে এই ফুলের গাছ বাড়িতে থাকলে সূর্যদেবও প্রসন্ন হয়ে থাকেন।
● গাছ রাখার সঠিক উপায়: তবে এই জবা ফুলের গাছের কাছে নোংরা জমতে দেবেন না। এতে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে জীবনের উপর। তাই জবা গাছের চারপাশ সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্য ও অনুমানের উপর রচিত। কোনোরূপ কুসংস্কারকে প্রশ্রয় দেওয়া প্রতিবেদকের অভিপ্রায় নয়।