গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রিতে নায়িকাদের মধ্যে কোনো কারণে বিবাদ বাঁধা খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। বলিউডে তো বটেই, টলিউডেও রয়েছে এমন উদাহরণ। আবার অনেক সময় অভিনেত্রীদের অজান্তেই তাদের ভক্তরা নিজেদের মধ্যে জড়িয়ে পড়েন রেষারেষিতে। সম্প্রতি এই কারণেই চর্চায় উঠে এসেছেন পার্নো মিত্র (Parno Mittra) এবং মনামী ঘোষ (Monami Ghosh)। দুজনের মধ্যে কোনো রকম বিবাদের আঁচ না থাকলেও দু পক্ষের অনুরাগীদের মধ্যে শুরু হয়েছে প্রতিযোগিতা। বিষয়টাও বেশ অদ্ভূত, বিকিনিতে কোন নায়িকাকে বেশ আবেদনময়ী লাগে?
খোলসা করেই বলা যাক সবটা। আসলে কিছুদিন আগেই শ্রীলঙ্কার ভ্যাকেশন থেকে কিছু ছবি শেয়ার করেছিলেন পার্নো। কখনো হলুদ, কখনো কালো বিকিনিতে ধরা দিয়েছিলেন তিনি। সমুদ্র সৈকতে খোলামেলা অবতারে অভিনেত্রীকে দেখেই হইচই পড়ে যায় নেট মাধ্যমে। রাতারাতি পুরুষ অনুরাগীদের ‘ক্রাশ’ হয়ে ওঠেন পার্নো। দুদিন গড়াতেই ফের বিষ্ফোরণ সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার লাইমলাইট মনামীর দিকে। বিদেশে ছুটি কাটাতে গিয়ে তিনিও সেজেছিলেন জলপরী। সবুজ রঙের ফ্লোরাল বিকিনিতে মেদহীন চাবুক ফিগারে রাতের ঘুম উড়িয়ে দেন অভিনেত্রী।
তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু প্রতিযোগিতা। দুই অভিনেত্রী কোনো মন্তব্য না করলেই অনুরাগীদের মধ্যে শুরু হয়েছে রেষারেষি। দুই নায়িকা কেউই কাউকে এক টুকরোও জমি ছাড়তে রাজি নন। দুজনেই পাল্লা দিয়ে চড়াচ্ছেন উষ্ণতার পারদ। তবে পর্যবেক্ষণ বলছে, মনামীর দিকেই বেশি ঝুঁকে রয়েছেন নেটিজেনরা। আসলে চল্লিশের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েও মনামীর ফিগার রীতিমতো ঈর্ষনীয় অন্য অভিনেত্রীদের কাছেও। অন্যদিকে পার্নোর কার্ভি ফিগারেও মন হারিয়েছেন অনেকেই।
View this post on Instagram
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ‘রঞ্জনা আমি আর আসব না’ ছবির হাত ধরে বড়পর্দায় পা রাখেন পার্নো। তারপর থেকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। বেডরুম, আমি আর আমার গার্লফ্রেন্ডস, অপুর পাঁচালি, সাহেব বিবি গোলাম, আলিনগরের গোলকধাঁধা, নো বেড অফ রোজেস, ধর্মযুদ্ধ এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। অন্যদিকে টেলিভিশনের পাশাপাশি সিনেমাতেও নিজের অভিনয় দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি নাচেও তাঁর জুড়ি মেলা ভার। নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে মনামীর। মাঝেমধ্যেই সেখানে নতুন নতুন মিউজিক ভিডিও শেয়ার করে চমকে দেন তিনি। আগামীতে সৃজিত মুখার্জী পরিচালিত ‘পদাতিক’ ছবিতে দেখা যাবে মনামী কে।
View this post on Instagram