Skin Care Tips: মাত্র দুই মিনিটেই ত্বকের কালো দাগ হবে উধাও, রইলো ঘরোয়া টিপস
সময় লাগবে মাত্র দু মিনিট, হ্যাঁ ঠিক শুনেছেন, আর এর জন্য আপনাকে খুব বেশি টাকা ব্যয় করতে হবে না। বাড়িতে থাকা কয়েকটা জিনিসই আপনি যদি ব্যবহার করেন আর মাত্র দুই মিনিট, একেবারে ঘড়ি ধরে দু মিনিট যদি আপনার ত্বকের উপর রেখে দেন, তাহলে সমস্ত কালো জায়গা একেবারে দুধের মতন ফর্সা হয়ে যাবে, তাই আর দেরি না করে আমাদের Hoophaap এর পাতায় চটজলদি দেখে ফেলুন অসাধারণ এই হোম রেমেডি।
১) মাত্র দু মিনিটে কালো ত্বক ফর্সা করে দিতে পারে পাতিলেবুর রস। পাতিলেবুর রস এর মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক অ্যাসিড একমাত্র এই কাজটি করতে পারে, যেখানটা কালো হয়ে গেছে, মনে হচ্ছে সেখানে বেশ ভালো করে পাতিলেবুর রস লাগিয়ে দু মিনিট রেখে দিন, তারপরে ভাল করে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন পরপর সাতদিন করুন দেখবেন আপনার সমস্ত কালো দাগ দূর হয়ে গেছে।
২) মাত্র 2 মিনিটে ত্বক ফর্সা করতে পারে টমেটোর টমেটোর রস এর মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক অ্যাসিড আপনার ত্বককে নিমেষের মধ্যে ফর্সা করে দিতে পারে যদি বিশ্বাস না হয় একবার করে দেখুন তবে টমেটোর রস অনেকের সহ্য হয় না তারা কিন্তু লাগাবেন না অবশ্যই আগে করে নে তারপরে দেখবেন আপনার ত্বককে সুন্দর হয়ে গেছে।
৩) ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করবেন মাত্র দু মিনিটে আলুর রস আলুর রসের মধ্যে থাকা ন্যাচারাল ব্লিচিং প্রপার্টি আপনার ত্বকে অনেক বেশি সুন্দর করবে কাল কে ফর্সা করতে অবশ্যই সাহায্য করে আলুর রস তাই আজ থেকেই ব্যবহার করুন আলুর রস।
আমরা জানি, বহু প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চার কাজে ব্যবহার হয়ে আসছে হলুদ। সুন্দর করতে সাহায্য করে হলুদ তবে কাঁচা হলুদ একেবারেই নয়। কাঁচা হলুদ যদি ত্বকের উপরে লাগান, সেক্ষেত্রে কিন্তু ইনফেকশন এর সমস্যা হতে পারে, তার জন্য কিনে নিতে হবে কস্তুরী হলুদ। কস্তুরী হলুদ আমাদের ত্বকের জন্য ভীষণ ভালো। দশকর্মা ভান্ডার থেকে সহজেই কিনে আনতে পারেন, অসাধারণ এই উপাদান। এই উপাদান ত্বকে লাগালে, ত্বকের সমস্ত সমস্যা আপনি একেবারে সমাধান পেয়ে যাবেন, তবে জেনে নিন কিভাবে হলুদের ব্যবহার করবেন।
তবে ত্বক যদি একেবারে ভেতর থেকে সুন্দর করতে চান, তাহলে প্রতিদিন সকালবেলা এক টুকরো কাঁচা হলুদ, গুড় দিয়ে খেতে পারেন বাসি মুখে। এছাড়াও প্রতিদিন রাতে শুতে যাবার সময় এক কাপ গরম দুধে এক টেবিল চামচ গুঁড়ো হলুদ বা কাঁচা হলুদ বেটে নিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে সামান্য গোলমরিচ দিয়ে খেলে দেখবেন, কিছুদিন পরে আপনার ত্বক কত সুন্দর হয়ে গেছে, সর্দি-কাশিও দূরে চলে যাবে। এবার জেনে নিন রূপচর্চার কাজে কাঁচা হলুদকে কিভাবে ব্যবহার করবেন।
১) ফেসপ্যাক হিসেবে কস্তুরী হলুদ- কস্তুরী হলুদকে ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন এই কস্তুরী হলুদ। আপনার ত্বক অনেক বেশি সুন্দর করতে সাহায্য করবে। যে কোন ফেসপ্যাক এর টক দই, চালের গুঁড়ো, কফি পাউডার, বেসন যে কোন ফেসপ্যাক একটা বানিয়ে নিয়ে তার মধ্যে এক চুটকি কস্তুরী হলুদ মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। এরপর ৭ দিন ব্যবহার করে নিজেই বুঝতে পারবেন নিজের ত্বক কত সুন্দর, পরিষ্কার, ঝকঝকে হয়ে গেছে।
২) টোনার হিসেবে কস্তুরী হলুদ- কস্তুরী হলুদ টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে একটি পাত্রের মধ্যে এক লিটার জল তার সঙ্গে দুই থেকে তিন টেবিল চামচ গ্রিন টি অথবা ভালো করে ফুটিয়ে নিয়ে, ছেঁকে নিয়ে তার মধ্যে কস্তুরী হলুদ মিশিয়ে এটা ফ্রিজে রাখতে পারেন। এর সঙ্গে মিশিয়ে দিতে পারেন গোলাপজল, খুব সুন্দর টোনার তৈরি হয়ে যাবে বাড়িতে।
৩) ফেসওয়াশ হিসাবে কস্তুরী হলুদ- কস্তুরী হলুদকে ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে যেকোনো বেবি ফেস ওয়াশ নিয়ে নেবেন, তার মধ্যে যদি সামান্য এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে দেখবেন আপনার ত্বক কত সুন্দর পরিষ্কার, ঝকঝকে হয়ে যাবে।
৪) স্ক্রাবার হিসেবে কস্তুরী হলুদ- স্ক্রাবার হিসেবে কস্তুরী হলুদকে ব্যবহার করতে পারেন। কফি পাউডার, চালের গুঁড়ো, বেসন একটা জায়গায় মিশিয়ে রেখে দিন। তারপর এর সঙ্গে যোগ করে দিন কস্তুরী হলুদ। একটুখানি গুলিয়ে মেখে নিন, তাহলেই দেখবেন খুব সুন্দর স্ক্রাবার আপনি বাড়িতেই তৈরি করতে পারছেন।
৫) ন্যাচারাল অয়েল হিসেবে কস্তুরী হলুদ- শীতকাল আসছে, নিশ্চয়ই এতক্ষণে আপনার বাড়িতে একটা ব্র্যান্ডেড কোম্পানির বডি অয়েল চলে এসেছে। কিন্তু বিশ্বাস করুন, বাড়িতে বানাতে পারেন অসাধারণ বডি অয়েল, তাহলে দেখবেন আপনার ত্বক একেবারে দুধের মতন পরিষ্কার হয়ে যাবে। তার জন্য প্রথমেই করতে হবে নারকেল তেলের মধ্যে পরিমাণ মতন কস্তুরী হলুদ এবং খুব ভালো করে কমলালেবুর খোসাগুলো আর গোলাপ ফুলের পাপড়ি গুঁড়োকে রেখে দিন। অন্তত পাঁচ থেকে দশ দিন শীতের কড়া রোদের মধ্যে একটি কাঁচের শিশিতে ভরে রাখুন। ভেতরে দেখবেন, সুন্দরভাবে তেল তৈরি হয়ে গেছে। তারপর লাগানোর আগে ভিটামিন ই ওয়েল মিশিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করলেই দেখবেন, আপনার ত্বক কত সুন্দর এবং পরিষ্কার, ঝকঝকে হয়ে গেছে।
সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনো রকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।