whatsapp channel

এই সমস্ত কারণেই বাবা হওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন একজন পুরুষ

শঙ্খধ্বনি, উলুর ধ্বনি বাজিয়ে নতুন বৌ এলো শ্বশুর ঘরে। এক বছর পেরোতে না পেরোতেই শ্বশুরবাড়ি এবং সমাজের আর পাঁচটা লোকের জিজ্ঞাসা দু'জন থেকে তিনজন কবে হচ্ছে। দু-তিন বছর পেরিয়ে যাবার…

Avatar

HoopHaap Digital Media

শঙ্খধ্বনি, উলুর ধ্বনি বাজিয়ে নতুন বৌ এলো শ্বশুর ঘরে। এক বছর পেরোতে না পেরোতেই শ্বশুরবাড়ি এবং সমাজের আর পাঁচটা লোকের জিজ্ঞাসা দু’জন থেকে তিনজন কবে হচ্ছে। দু-তিন বছর পেরিয়ে যাবার পর যদি সন্তান না আসে তাহলে শ্বশুরবাড়ির মানুষের এবং সমাজের দৃষ্টি পড়ে বাড়ির বউটির উপর। নিশ্চয়ই ‘মেয়েটি বাঁজা’। এই নিয়ে কানাঘুষা কথাবার্তা শুরু হয়ে যায় নিজেদের মধ্যে। এইরকম কাঠামোতেই এতদিন সমাজ চলে আসছে। মেয়েরা যতই উন্নতি করুক তারা চাকরি করুক একসঙ্গে সংসার চালাক তা সত্ত্বেও সামাজিকভাবে মেয়েদের জায়গা কতটা উন্নত হয়েছে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। ঘরের মানুষগুলো বা সমাজ কখনোই ছেলেটিকে গিয়ে প্রশ্ন করেনা তার কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা। সে পুরুষ, পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষ বন্ধা হবে বা বাঁজা হবে এটা কেউ মেনে নিতে পারে না। কিন্তু বিষয়টা যদি একটু খোলা মনে গ্রহণ করা যায় তাহলে ক্ষতি কি!

মেয়েদের যদি সমস্যা থাকতে পারে একজন পুরুষ মানুষের সমস্যা হবে না কেন? তার জন্য চিকিৎসা রয়েছে। একজন মেয়ে যদি সন্তান পাবে বলে নিজে অগ্নিপরীক্ষা দিতে পারে তাহলে একটা ছেলে কেন পারে না? যত পুরুষত্ব কি তার সেইখানে? এতে কোন লজ্জা নেই। পুরুষ বা নারী যার জন্য সন্তান না আসুক এতে কারুর কোন দোষ নেই। তবে আলোচনা করতে হবে খোলাখুলি। বাড়ির ছেলেটার সমস্যা বলে সেই সমস্যা চৌকাঠের বাইরে যাবে না এমনটা হওয়া উচিত নয়।

এবার জেনে নেওয়া যাক পুরুষ বন্ধ্যাত্বের কারণ কি! সহজ কথায় বলতে গেলে বীর্যে শুক্রাণুর অভাব হলেই পুরুষ বন্ধ্যাত্ব শুরু হয়। স্বামীর শুক্রাণুর মান নিম্ন এবং সংখ্যায় কম হওয়ার জন্য অনেক নিঃদম্পতির সন্তান হয়।

কেন এমন হয়? অতিরিক্ত মদ্যপান করা। মানসিক চাপ।
সারাক্ষণ ধরে চাপা অন্তর্বাস পরা। কোলের ওপর ল্যাপটপ নিয়ে বসে অনেক্ষণ কাজ করা। ল্যাপটপ এর রে শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

এছাড়াও আধুনিক বিজ্ঞান বলছে অনেক সময় পুরুষ হিসাবে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য অনেক হরমোনাল ওষুধ তাড়া খেয়ে থাকে। শরীর তৈরি করার জন্য বডি বিল্ডিং এর জন্য এমন কিছু ওষুধ তারা সেবন করে যার জন্য তারা এই সমস্যায় ভুগতে পারে। এছাড়া শুক্রাশয় এর সংক্রমণ, ফুলে যাওয়া কিংবা জেনেটিক সমস্যা থাকলে সন্তান নাও হতে পারে। পুরুষের টেস্টোস্টেরনের কমতি থাকলেও হরমোনাল ইঞ্জেকশন নিতে হবে। সমস্যা হলে অবশ্যই ডাক্তার দেখান। সমস্যা খোলাখুলি আলোচনা করুন।

whatsapp logo
Avatar
HoopHaap Digital Media