বাংলায় মহিলা নাট্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য সরব অভিনেত্রী চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায় (Churni Ganguly)। নাট্যকর্মী দামিনী বেণী বসু সম্প্রতি মহিলা নাট্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার তাঁর সঙ্গে সহমত হয়েই সুর চড়ালেন চূর্ণী। নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া এক ভয়াবহ ঘটনার কথা উল্লেখ করে মহিলাদের সুরক্ষার জন্য সরব হলেন অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন তিনি।
চূর্ণী যখন কিশোরী, তখন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তিনি। বয়স ছিল অল্প, মন ছিল অপরিণত, কিন্তু সেই অভিজ্ঞতা ভোলেননি তিনি। ওই ঘটনা নাড়া দিয়েছিল কিশোরী মনকে, বাকি জীবনটা সেই ক্ষত বয়ে বেড়াতে হচ্ছে তাঁকে। একটি বড় পোস্টে সেই ঘটনার কথা জানিয়েছেন তিনি। ছয় বছর আগে ‘মিটু’ প্রসঙ্গে সেই অভিজ্ঞতা জানিয়ে চূর্ণী লিখেছিলেন, ‘আমি হয়তো ছোট ছিলাম, কিন্তু আমি ভুলিনি’। সেই ঘটনা নিয়ে আবারো লিখেছেন অভিনেত্রী।
তিনি লিখেছেন, তাঁর বয়স যখন মাত্র ১২ তখনই নির্যাতনের শিকার হন তিনি। কিন্তু এত বছরে সেই ঘটনা কাউকে বলতে পারেননি তিনি, নীরবে বয়েছেন ক্ষত। তিনি লিখেছেন, ‘অপরাধীর শাস্তি হয়নি, কিন্তু আমি আজ বিশ্বাস করি, নিজের কর্মফল সে ঠিক পাবে’। চূর্ণী লিখেছেন, তাঁর মনে পড়ে সেদিন তিনি অবিশ্বাসে থমকে গিয়েছিলেন। সুযোগ পেতেই ছুটে বেরিয়ে এসেছিলেন ঘর থেকে। গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গিয়েছিল, বুক ধরফর করছিল। কাউকে বলতে পারেননি তিনি। সেই মানুষটাকে বিশ্বাস করার জন্য ভেঙে পড়েছিলেন ছোট্ট চূর্ণী।
অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘আমি এখনো তার ক্ষমা চাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। যে মানসিক যন্ত্রণা, ক্ষত আমি জীবনভর বয়ে বেড়াচ্ছি, তার জন্য এতটুকু তো সে করতেই পারে। সে হয়তো নিশ্চিন্তে আছে এই ভেবে যে তার আমি কখনো প্রকাশ করতে পারব না। আর সেই কারণেই এক ১২ বছরের কিশোরীর সুযোগ নিয়েছিল সে’। চূর্ণী জানিয়েছেন, দামিনী বেণী বসুর আবেদনে সাক্ষর করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দেরি হয়ে যাওয়ায় সেটা করতে পারেননি। তাই এই পোস্টের মাধ্যমেই তাঁকে সমর্থন জানিয়েছেন চূর্ণী।
View this post on Instagram