হাসিনা সরকারের পতন, বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝে বিষ্ফোরক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ঐতিহাসিক দিন বাংলাদেশের (Bangladesh) জন্য। দীর্ঘদিন ধরে চলা সংরক্ষণের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে সোচ্চার হয়েছে গোটা দেশ। সোমবার শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে পথে নামে প্রায় সমগ্র দেশ। বেগতিক দেখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন হাসিনা। সূত্রের খবর বলছে, দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তিনি। সেখান থেকে যেতে পারেন লন্ডন। এর মাঝেই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সংরক্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে বিগত বেশ অনেকদিন ধরেই উত্তাল বাংলাদেশ। পথে নামে ছাত্রছাত্রীরা। পড়ুয়াদের মৃত্যুতে বিক্ষোভ ক্রমে তীব্র হয়। সোমবার পরিস্থিতি ওঠে চরমে। দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ নেমে আসে রাস্তায়। শেষমেষ পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিজের বাসভবন থেকে সামরিক হেলিকপ্টারে দেশ ছাড়েন তিনি। এদিকে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলে রাজ্যবাসীকে শান্ত, সংযত থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলার মানুষকে তিনি শান্তি এবং সংযম প্রদর্শনের জন্য অনুরোধ করছেন। কেউ কোনো প্ররোচনায় পা দেবেন না। এটি দ্বিপাক্ষিক ব্যাপার। তিনি আরো বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে সেই নির্দেশ মতোই কাজ করা হবে। অন্যদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মন্তব্য করেন, বাংলাদেশে ‘হিন্দু কোতল’ চলছে। ১ কোটি শরণার্থী পশ্চিমবঙ্গে আসতে চলেছে। তাদের নেওয়ার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
হাসিনা সরকারের পতনের পরেই বাংলাদেশের রাস্তার দখল নিয়েছে সেনাবাহিনী। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ঢুকে পড়ে উন্মত্ত জনতা। এমনকি হাসিনার বেনারসি শাড়ি হাতে ছবি তুলতেও দেখা যায় কিছু জনকে। ধানমন্ডিতে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। ভাঙা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের মূর্তি। পুলিশের বদলে রাস্তায় নেমেছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী।