এপার বাংলার ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তিনি। তবে ওপার বাংলায় একটি মাত্র ছবিতে অভিনয় করেই শোরগোল ফেলে দিয়েছেন ইধিকা পাল (Idhika Paul)। ছোটপর্দা থেকে উত্থান তাঁর। টেলিভিশনে জনপ্রিয়তা অর্জন করে বাংলাদেশ পাড়ি দেন ইধিকা। শাকিব খানের বিপরীতে ‘প্রিয়তমা’ ছবিতে অভিনয় করে রাতারাতি জনপ্রিয়তার চূড়ায় ওঠেন তিনি। যেখানে এত ভালোবাসা পেয়েছেন, সেই বাংলাদেশের এমনতর অবস্থা দেখে মনে ভারাক্রান্ত ইধিকার।
এক সংবাদ মাধ্যমের কাছে ইধিকা বলেন, গত বছর ইদের সময় মুক্তি পেয়েছিল প্রিয়তমা ছবিটি। মানুষের এত ভালোবাসা পেয়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন তিনি। ইধিকার কথায়, বাংলাদেশের মানুষদের হৃদয় খুবই উষ্ণ। তাদের অতিথি আপ্যায়নে মুগ্ধ হন তিনি। ওপার বাংলা থেকে ওজন বাড়িয়ে দেশে ফিরেছিলেন তিনি। সেই চেনা দেশের এখন রক্তাক্ত পরিস্থিতি দেখে ভারাক্রান্ত ইধিকার মন। তবে তিনি এও জানান, তাঁর প্রিয় বাংলাদেশ শান্ত হলে, দেশ চেনা চেনা ছন্দে ফিরলেই আবারও সেখানে কাজ করতে যাবেন তিনি।
অন্যদিকে বাংলাদেশের সুপারস্টার অভিনেতা শাকিব খানও একটি বিবৃতি দিয়েছেন সম্প্রতি। সেখানে লেখা, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত সবার চাওয়া পূরণ হয়েছে। জয় পেয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। কিন্তু এই জয়ের আনন্দ যেন আমাদের দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা আর দায়বদ্ধতা ম্লান করে না দেয়। এই মুহূর্তে আমাদের সবার আরও বেশি সহানুভূতিশীল হতে হবে। মনে রাখতে হবে- সবার আগে দেশ, দেশের মানুষ, দেশের ভাবমূর্তি এবং দেশের সম্পদ। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে দেশের সব মানুষ যেন নিরাপদে থাকে এবং দেশের সম্পদ সুরক্ষিত থাকে- আসুন আমরা সেই চেষ্টা চালিয়ে যাই। এটা আমাদের নৈতিক, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এই মুহূর্তে দিল্লির সেফ হাউসে রয়েছেন শেখ হাসিনা। শোনা যাচ্ছে, পশ্চিমী দেশগুলিতে আশ্রয় নেওয়ার পরিকল্পনায় রয়েছেন তিনি। কিন্তু ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে আশ্রয় দিতে প্রস্তুত নয়। ব্রিটেনের কাছে আশ্রয় চেয়ে ইতিমধ্যেই প্রত্যাখাত হয়েছেন তিনি। আর এবার আমেরিকাও মুখ ফেরালো হাসিনার দিক থেকে। এবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, আমেরিকার ভিসা বাতিলের ঘটনায় তাঁর রাজনৈতিক জীবনে কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা। কারণ আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে আমেরিকার প্রভাবের কথা মাথায় রেখে বাকি পশ্চিমী দেশগুলিও একই পথ ধরবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। এও মনে করা হচ্ছে, এমন যদি হয় তবে রাশিয়া, বেলারুশ বা পশ্চিম এশিয়ার কোনও দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে পারেন হাসিনা।