শেখ হাসিনার ইস্তফার পরেও উত্তপ্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)। কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু হয়ে বর্তমানে সেনা শাসনে রয়েছে পড়শি দেশ। চলছে নতুন সরকার গঠনের তোড়জোড়। তবে এর মাঝেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের বেশ কিছু অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। বেশ কিছু জায়গায় হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর চালানোর মতো ঘটনাও সামনে এসেছে। বাংলাদেশ পরিস্থিতির আঁচ এসে পড়েছে এপার বাংলাতেও। এবার পড়শি দেশের অরাজকতা নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)।
বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে প্রথম থেকেই সরব থাকতে দেখা গিয়েছে স্বস্তিকাকে। আন্দোলনরত ছাত্রদের পাশেই ছিলেন তিনি। তবে হাসিনা সরকারের পতনের পরেও যেভাবে অশান্তির আগুন জ্বলছে বাংলাদেশে তা দেখে আর চুপ থাকতে পারলেন না স্বস্তিকা। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের নাগরিক না হয়েও, বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীরা যখন গুলি খেয়েছে, মার খেয়েছে তাদের পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছি। কিন্তু দুদিন ধরে দেখছি বাংলাদেশে হিন্দুদের ঘর পুড়ছে, মহিলাদের নিগ্রহ করা হচ্ছে, এমন কি দুই বাংলার অত্যন্ত প্রিয় গুনী শিল্পী রাহুলের বাড়ি আক্রমণ করা হয়েছে। এই দায় বাংলাদেশের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব কে নিতে হবে। নিতে হবে তামাম বাংলাদেশী দের।’
এরপর তিনি লিখেছেন, ‘মূর্তি ভাঙা, মুক্তিযুদ্ধের জাদুঘরে আগুন দেওয়া, এই কি ছিলো কোটা আন্দোলনের উদ্দেশ্য? মুক্তিযুদ্ধ তো জেনেছিলাম, সকল বাংলাভাষী মানুষের প্রানের মূল্য, কিভাবে আপনারা একজন স্বৈরশাসক হটাতে গিয়ে, এই মুক্তিযুদ্ধ কে আঘাত করলেন? আপনারা সকল ধরনের সাম্য ও মৈত্রীর কথা বলেছিলেন, তার প্রথম শর্ত একটি দেশের সংখ্যালঘুদের প্রান, মানবাধিকারের প্রতিষ্ঠা। সে ব্যর্থ হলো।’
সংখ্যালঘুদের হয়ে সুর চড়িয়ে স্বস্তিকা আরো লিখেছেন, ‘পালাবদলের সম্মুখে দাঁড়িয়ে আছেন আপনারা, সবার আগে বাংলাদেশের হিন্দুদের প্রান বুক দিয়ে রক্ষা করুন। যদি বলেন, এ আপনাদের মদতে হয়নি, বাংলাদেশের মুসলিম মৌলবাদী, সুযোগ সন্ধানী’রা করেছেন, তবে একটি কথাই বলবো, আপনাদের স্বপ্ন ছিনতাই হতে দেবেন না, তরুণদের ত্যাগ কে ব্যবহার করে, কোনো শক্তি যেন গনহত্যা না চালায়, সেই দায় দায়িত্ব’ও আপনাদের। বাংলাদেশে শান্তি, গনতন্ত্র, সংখ্যা লঘুদের অধিকার ফিরুক যত শীঘ্র সম্ভব’।
Instagram-এ এই পোস্টটি দেখুন