কঙ্গনা রাণাওয়াত (kangana Raunat) তো এমনিতেই বিতর্ক তৈরী করে খবরের শিরোনামে থাকেন। কিন্তু এবার তাঁর দেহরক্ষীর কারণে তাঁর নাম আবারও উঠে এল। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল কঙ্গনার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী কুমার হেগড়ে (kumar hegde)-কে।
পেশায় বিউটিশিয়ান এক মহিলা অভিযোগ করেছেন, তিনি প্রায় আট বছর ধরে কুমার হেগড়ের সাথে পরিচিত। 2020 সালের জুন মাসে কুমার ওই মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। মহিলা কুমারের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান। এরপর কুমার একাধিকবার ওই মহিলার সঙ্গে সহবাস করেছেন। এমনকি চলতি বছরের 27 শে এপ্রিল কুমার ওই মহিলার কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরে হঠাৎই কুমার ওই মহিলার সাথে যোগাযোগ ছিন্ন করে দেন। এর মধ্যেই একজন বন্ধুর মাধ্যমে মহিলা জানতে পারেন, কুমার আর তাঁর সাথে সম্পর্ক রাখতে চান না।
এই ঘটনার কিছুদিন পর ওই মহিলার কাছে একটি ফোন আসে। ওই ফোনে অপর একটি মহিলাকন্ঠ নিজেকে কুমারের মা হিসাবে পরিচয় দিয়ে বলেন, কুমারের অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়েছে। এই কারণে কুমারের সঙ্গে ওই মহিলাকে সম্পর্ক রাখতে বারণ করেন কুমারের ‘মা’। এরপরেই চলতি বছরের 19 শে মে কুমারের বিরুদ্ধে ডিএন নগর থানায় এফআইআর দায়ের করেন মহিলা। ভারতীয় দন্ডবিধির 376 ও 377 ধারায় কুমারের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এছাড়াও প্রতারণার অভিযোগে ভারতীয় দন্ডবিধির 420 ধারাতে কুমারের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
কুমার ওই মহিলাকে প্রতারণা করে মুম্বই থেকে পালিয়ে কর্ণাটকে নিজের গ্রামের বাড়িতে আত্মগোপন করেছিলেন। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে যাই মুম্বই পুলিশের বিশেষ দল। কুমারকে তাঁর গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে মুম্বই নিয়ে আসা হয়েছে।