whatsapp channel

পেটের টানে চায়ের দোকানে কাজ করছেন সৌরভ গাঙ্গুলীর পছন্দের স্পিনার!

এক সময় সৌরভ গাঙ্গুলীর সাথে নেট প্র্যাকটিস করেছেন বাঁহাতি এই স্পিনার। কিন্তু বর্তমানের পেট চালাতে গিয়ে কাজ করতে হচ্ছে চায়ের দোকানে। দিন আনা দিন খাওয়ার মত করে সংসার চলছে তার।…

Avatar

HoopHaap Digital Media

এক সময় সৌরভ গাঙ্গুলীর সাথে নেট প্র্যাকটিস করেছেন বাঁহাতি এই স্পিনার। কিন্তু বর্তমানের পেট চালাতে গিয়ে কাজ করতে হচ্ছে চায়ের দোকানে। দিন আনা দিন খাওয়ার মত করে সংসার চলছে তার। করোনা মহামারীতে হয়ে পড়েছে আরো শোচনীয় অবস্থা। অথচ এক সময় সৌরভ গাঙ্গুলীর অত্যন্ত পছন্দের বোলার ছিলেন আসামের প্রকাশ ভগত। বাঁহাতি স্পিনারের বল করার ভঙ্গি ছিল অনেকটা নিউজিল্যান্ডের ড্যানিয়েল ভেট্টোরির মত। সেজন্য যখনই কোন দেশের বাঁহাতি স্পিনারের মোকাবেলা করতে হত তখনি নেট প্রাক্টিস ডাক পেতেন আসামের এই বোলার প্রকাশ ভগত।

৩৪ বছর বয়সে প্রকাশ ভগতের এখনো সেই স্মৃতি দুচোখের পাতায় ভাসমান। তিনি বলেন, যখনই সৌরভ গাঙ্গুলী কোন বাঁহাতি বোলারের বিরুদ্ধে খেলতে যেতেন, তার আগে তার সাথে ব্যাঙ্গালুরুতে (NCA) নেট প্র্যাকটিস করে যেতেন। ২০০৩ সালের ভারত যেবার বিশ্বকাপ ফাইনালে পৌঁছায় সেবারও নেট প্রাক্টিসের জন্য ডাক পেয়েছিলেন আসামের এই বোলার। সৌরভ গাঙ্গুলীর অত্যন্ত পছন্দের বোলার ছিলেন তিনি।

অনূর্ধ্ব-১৭ বিজয় মার্চেন্ট ট্রফি থেকে ক্রিকেটমহলের নজরে আসেন প্রকাশ ভগত। তিনি একাই আসামের জার্সিতে বিহারের বিরুদ্ধে ৭ উইকেট সহ হ্যাটট্রিক করেন। খেলেছেন ২০০৯-১০, ২০১১-১২ রঞ্জি ট্রফিতে। ২০১১ তে বাবা মারা যাওয়ার পরে সংসারের পুরো দায়িত্ব চলে আসে তার ওপর। তিনি ক্রিকেট ছেড়ে চলে আসেন শিলচরে দাদার চায়ের দোকানে। সেখান থেকে শুরু হয় তার জীবনের আসল লড়াই। প্রকাশ ভগত এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমার সময় যারা রাজ্য পর্যায়ের খেলা করেছে সবাই সরকারি চাকরি পেয়ে স্বচ্ছন্দে জীবিকা নির্বাহ করছে। একমাত্র আমিই কিছু পেলাম না।”

whatsapp logo
Avatar
HoopHaap Digital Media