পুরো নাম এনা জেনিফার সাহা। টলি পাড়ার মিষ্টি অভিনেত্রী তথা প্রযোজক। গত বছরেই এনার প্রযোজনায় মুক্তি পায় এসওএস কলকাতা। অবশ্য, এনার প্রথম ছবি হল সোমনাথ গুপ্ত পরিচালিত বাংলা চলচ্চিত্র ‘আমি আদু’।
বর্তমানে এনাকে ছোট পর্দায় বা বড় পর্দায় দেখা না গেলেও একটা সময় ছোট পর্দার পরিচিত মুখ ছিলেন এনা। ‘রাত ভোর বৃষ্টি’, ‘বউ কথা কও’, ‘বাঁধন’ , ‘সংসার সুখের হয় রমনীর গুণে’, ‘মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য’ র মতন ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছে এনা সাহাকে। এছাড়াও বড় পর্দায় এনা অভিনয় করেছেন ‘বোঝে না সে বোঝে না’, ‘রাজকাহিনী’, ‘লঙ্কা’, ‘বক্সার’ এর মতন মুভিতে।
View this post on Instagram
এরপর এনা সাহাকে আর দেখা যায় নি ছোট পর্দা বা বড় পর্দায়। সোশ্যাল মিডিয়াতে তেমন অ্যাক্টিভ নন এনা। অথচ এনাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বডি শেমিং হচ্ছে। কেউ বলছেন, “ঠোঁটে কি তোমায় বোলতা কামড়েছে? ওরোম ফুলে গেছে কেন? পর্ণ অভিনয় করতে লজ্জা কেন?” কেউ লিখেছেন, “ওটাকে কনফিডেন্স বলে না, ভদ্র মেয়েরা এসব পরে রাস্তায় বেরোলে এটাকে নোংরামি বলে।” কেউ লিখেছেন, “ফিল্টার, মেক আপ, এইচ ডি ক্যামেরা, এরপরে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী।”
View this post on Instagram
একথায় এনার সৌন্দর্য ও বডি স্ট্রাকচার নিয়ে ঝড় বয়ে গেল নেট দুনিয়ায়। তবে একা এনা নন, শরীরকে গড়ন নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের শিকার হয়েছেন আরো অনেকে। কিছুদিন আগেও শুভশ্রী গাঙ্গুলি তার শরীর নিয়ে কটূক্তির শিকার হয়েছেন। অবশ্য তার যোগ্য জবাব পর্যন্ত তিনি দিয়েছেন। এদিকে এনা নিজেও কিছু কম যাননা। একেবারে বোল্ড লুকে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে পোস্ট করেছেন একাধিক ছবি ও ভিডিও, এবং তাতে লেখা – ‘আমি আত্মবিশ্বাসী! বডি শেমিং বন্ধ হোক’।