whatsapp channel

Didi No 1: বাঘের সঙ্গে লড়াইয়ের ঘটনা ‘ভুয়ো’ দাবী দর্শকদের, ভিডিও প্রকাশ্যে এনে জবাব দিল ‘Zee Bangla’

সম্প্রতি, সুন্দরবনের লড়াকু জ্যোৎস্নার লড়াইকে কুর্নিশ জানাতে দেখা গিয়েছে রচনা ব্যানার্জীকে এবং গোটা জি বাংলার টিমকে। এমনিতে জি বাংলার সুর একটাই, জীবন মানেই জি বাংলা, তাই বিভিন্ন মানুষের জীবনের গল্প…

Avatar

HoopHaap Digital Media

সম্প্রতি, সুন্দরবনের লড়াকু জ্যোৎস্নার লড়াইকে কুর্নিশ জানাতে দেখা গিয়েছে রচনা ব্যানার্জীকে এবং গোটা জি বাংলার টিমকে। এমনিতে জি বাংলার সুর একটাই, জীবন মানেই জি বাংলা, তাই বিভিন্ন মানুষের জীবনের গল্প উঠে আসে এই চ্যানেলের মাধ্যমে এবং দিদি নং ওয়ান শোয়ের মাধ্যমে। রচনা ব্যানার্জী, প্রতিদিনই বিভিন্ন জায়গায় লড়াকু দিদিদের নিয়ে হাজির হন।মজাদার গেম যেমন চলে তেমনই চলে পুরস্কার দেওয়া ও উঠে আসে তাদের জীবনের নানান দিকের গল্প। এবারের কাহিনীর প্রেক্ষাপট সুন্দরবন।

সুন্দরবনে আমরা হয়তো অনেকেই ঘুরতে যাইনি, কিন্তু সেখানকার বাঘ, কুমির, সাপের গল্প শুনেছি কম বেশি। সেরকমই, এইবার দিদি নং ওয়ান শোতে হাজির হয়েছিলেন সুন্দরবনের এক দম্পতি। শুনিয়েছিলেন ঘরের ও বাইরের মর্মান্তিক এবং হাড় হিম করা কাহিনী। সেই মহিলা অর্থাৎ জ্যোৎস্না শীর কথায় তার জামাইকে বাঘে নিয়ে গিয়েছে কিছু বছর আগে। তারপর থেকে মেয়ে ও ৬ মাসের নাতনি তাঁদের ঘরেই থাকে, শ্বশুর বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় মেয়ে নাতনিকে। পেটের জ্বালায় ফের জ্যোৎস্না ও তার স্বামী বের হন মাছ-কাঁকড়া ধরতে। আর তখনই তাঁর বরের ওপর পিছন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘ। এই মহিলা শুধু মাত্র মাকে স্মরণ করতে করতে বাঘের পিঠে উঠে বসে বাঘের কানে আঙ্গুল ঢুকিয়ে টানতে থাকে। শেষে বাঘটি ছেড়ে দিলেও, ওই মহিলার স্বামীর হাত একেবারে অকেজ হয়ে যায় কাধ থেকে।

স্বামীকে নিয়ে উপস্থিত হন জ্যোৎস্না। ওই ভদ্রলোক শার্ট পরে থাকলেও তার হাত দুটো শরীরের সঙ্গে লেগে থাকে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত জ্যোৎস্না স্বামীর কাধের ও হাতের ক্ষত দেখায়। এমন হাড় হিম করা গল্পে দিদি নং ওয়ান শোয়ের টিআরপি বাড়লেও এই শো সমালোচিত হয়। অনেকের ধারণা এটা বানানো গল্প। যদিও দিদি নং ওয়ান শোতে অনেকেই বানিয়ে বানিয়ে গল্প বলেন বলে অনেকের মত, সেক্ষেত্রে এই কাহিনীকেও অনেকে বানানো গল্প বলে মন্তব্য করেন।

এবারে, যোগ্য জবাব দিল জি বাংলা টিম। চ্যানেলের তরফে সামনে আনা হয়েছে গোটা ভিডিও। যেখানে জ্যোৎস্নাদেবী তাঁর সারা জীবনের লড়াই তুলে ধরেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। কাহিনীর শেষে, অসহায় জ্যোৎস্না জানান, ‘মৃত্যু ছাড়া আমার আর গতি নেই’! যদিও রচনা জানান তার ও জি বাংলার টিমের তরফ থেকে তাকে যথাসাধ্য সাহায্য করা হবে, এমনকি দিদি রচনা উৎসাহ বাড়িয়ে বলেন এভাবেই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।

whatsapp logo
Avatar
HoopHaap Digital Media