শীত বস্ত্র আর আটকে রেখে লাভ নেই। সব বের করা শুরু করে দিন। সকাল বিকেল অন্তত পক্ষে গলা বুক ও কান ঢেকে রাখার ব্যবস্থা করুন। কারণ এই শীতের শুরুতে সর্দি, কাশি, গলা ব্যথার সম্ভবনা বেশি থাকে। সম্ভব হলে নুন গরম জল দিয়ে গারগেল করুন, চবনপ্রাশ বা মধু তুলসী সেবন করুন। রাতে হালকা গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন। এই সময় বাজারে আমলকী বিক্রি হচ্ছে। দুপুরে খাবার পর একটা গোটা আমলকী খেয়ে নিতে পারেন। এই সবই শরীরের তাপ ধরে রাখবে, ইমিউনিটি বাড়াবে, এবং শরীর ও মন এই শীতেও চাঙ্গা থাকবে।
ইতিমধ্যে, বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে বিক্ষিপ্ত ভাবে বিভিন্ন জায়গায়। বিশেষ করে গত রাত থেকেই মহানগরী ভিজেছে বৃষ্টির জলে। এখনও রাস্তা ঘাট ভেজা। এই বৃষ্টি মানেই উত্তুরে হাওয়ার প্রবেশ হয়ে গিয়েছে। শীতের ভাব এখন থেকেই সকলে অনুভব করা শুরু করে দিয়েছে। এদিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২০ ডিগ্রির কাছাকাছি।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে যে শীত শহরে এসে গিয়েছে, আজকের পর থেকে আকাশের মেঘ কাটবে। অর্থাৎ শীতের প্রবেশ হবে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগামী ২০ নভেম্বরের পর থেকে রাজ্যে শীতের অনুপ্রবেশ ঘটবে।
এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, আবহাওয়াবিদ জানান, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত শীতের আবহাওয়া থাকবে গোটা রাজ্য জুড়ে। সুতরাং যদি এই সময় শীত দারুণভাবে উপভোগ করতে চান তবে শীতের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য শারীরিকভাবে প্রস্তুত হন এবং মাস্ক বাধ্যতামূলক।