নাচের মাধ্যমেই ‘ত্রিনয়নী’-র অফার পান তিনি। নাচ বরাবরই তার সাধনা। তার সাথে সুমধুর গানও গাইতে পারেন তিনি। ত্রিনয়নীতে কাজ করার সময়েই পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। তারপর তাদের প্রেমের বসন্ত এখনও স্থায়ী।
যদিও তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মানুষের উৎসাহের অন্ত নেই। বারবার তাঁর গায়ের রং-এর জন্য তাকে নেটিজেনদের ট্রলের শিকার হতে হয়। কিন্তু নিন্দুকেরাও একটি কথা স্বীকার করতে বাধ্য যে তাঁর মধ্যে অভিনয় সত্ত্বা ভরপুর রয়েছে। অভিনয়ের জোরেই ‘ত্রিনয়নী’ বেঙ্গল টপার হয়েছিল একসময়। ত্রিনয়নীর পর লীনা গঙ্গোপাধ্যায় এর হাত ধরে তিনি আবার ‘দেশের মাটি’-র মাধ্যমে টেলিভিশনে ফেরেন। সেই ধারাবাহিকের নোয়া-কিয়ান জুটি দর্শকদের মনে জায়গা করে নেয়। কিন্তু তাঁর গায়ের রং নিয়ে ঘোরতর আপত্তি সমাজের একাংশের। কেউ কেউ তো আবার তাঁর মৃত্যু কামনা করে বসেন! কিন্তু এই সবকিছুকে গুরুত্ব দিতে তিনি কোনদিনও পছন্দ করেন না।
প্রতিটি চ্যানেল এখন নতুন ধারাবাহিকের ছয়লাপ। কিন্তু এই সময় শ্রুতি কেন ফিরছেন না টেলিভিশনে? উত্তরে তিনি জানান, ‘অন্য রকমের মুখ, অন্য ধারার চরিত্রে সাবলীল বা তথাকথিত নায়িকা নন- এই ধরনের কথা সাক্ষাৎকারে শুনতে বেশ লাগে। প্রতি মুহূর্তে সংগ্রাম আর কষ্ট পাওয়ার যুদ্ধটা বোধহয় আমার একার।’
দুটি হিট সিরিয়াল উপহার দেওয়ার পরও তার ঝুলিতে এখন কাজের সংখ্যা শুণ্য। এই প্রসঙ্গে তাঁর অকপট মন্তব্য, “এক দিন বা দু’দিন নয়, রোজ আমায় প্রমাণ দিতে হয় আমি অভিনয় জানি।’’
তিনি যে কাজের অফার পাচ্ছেন না এমনটা নয়। কিন্তু তা পার্শ্ব বা ক্যামিও চরিত্র। একটি ধারাবাহিকে মূল চরিত্রে ডাক পেয়েছিলেন কিন্তু সেখানেও তাঁকে সরিয়ে অন্য একজনকে নিয়ে নেওয়া হয়েছে।
