‘আশা পারেখ’ (Asha Parekh) নামটি উচ্চারিত হতেই মনে পড়ে যায় রাজেশ খান্না (Rajesh Khanna)-র লিপে একটি অসাধারণ গানের বিশেষ লাইন ‘হাসতে কোই জহর পিয়ে যায়’। বিপরীতে আশা পারেখ। মুখে আলতো হাসি ও পরনে সাদা থান শাড়ি। একসময় একের পর এক হিট ফিল্ম উপহার দিয়েছেন আশা। প্রথাগত সৌন্দর্য কোনোদিন ছিল না তাঁর। কিন্তু ছকভাঙা সৌন্দর্যের জেরেই উনআশি বছর বয়সেও তিনি একটি বিখ্যাত ফ্যাশন ম্যাগাজিনের কভার মডেল।
View this post on Instagram
ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সেই ছবি। এভারগ্রিন আশার পরনে কালো রঙের পুলওভার, গলায় মুক্তোর পাঁচনরি হার, হাতে মুক্তো বসানো আংটি, কানে মাদার পার্লের স্টাড। বাদামি-সাদা চুল ব্যাক কোম্ব করা। চোখের দৃষ্টি আজও উজ্জ্বল। এই ম্যাগাজিনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আশা উত্তর দিয়েছেন তাঁর অনুরাগীদের চিরকালীন প্রশ্নের। আশার অনুরাগীদের একাংশ বারবার জানতে চাইতেন, কেন তিনি বিয়ে করেননি। অনেকে ভাবতেন, তিনি বিবাহ বিচ্ছিন্না। তবে আদতে আশা বিবাহিত নন। বিয়ে নামক সামাজিক প্রতিষ্ঠানটি তিনি পছন্দ করলেও অবিবাহিত থাকার জন্য কোনো আফশোস করেন না তিনি।
View this post on Instagram
একসময় বিয়ে করতে ও সন্তান ধারণ করতে চেয়েছিলেন আশা। কিন্তু তিনি ভাগ্যে বিশ্বাস করেন। ফলে আশার মনে হয়, তাঁর ভাগ্যে বিয়ে ছিল না। তবে তিনি আজও খুশি, নিজের মতো করে। কারণ বিয়ে করে মা হতে চাইলেও আশা কোনোদিন গৃহবধূ হতে চাননি। তিনি বরাবর অভিনয় করে যেতে চেয়েছিলেন। তাঁর আকাশছোঁয়া খ্যাতি ও তুখোড় ব্যক্তিত্বের কারণে অনেকে আশাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে চেয়েও পারেননি। কিন্তু এক বিবাহিত পরিচালকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন আশা। কিন্তু পরে তিনি নিজেই সেই সম্পর্ক ভেঙে দেন।
আশা আত্মবিশ্বাসী। তিনি মনে করেন সৌন্দর্য মানুষের অন্তরে থাকে। খুশি থাকলে সেই সৌন্দর্য ফুটে ওঠে চোখে-মুখে। কিন্তু মনে দুঃখ থাকলে তা মলিন হয়ে যায়।
View this post on Instagram