সিদ্ধার্থ শুক্লার রেখে যাওয়া জীবনবোধ, সুখস্মৃতি এইগুলির ওপরই খড়কুটোর মত ভর করে বেঁচে আছেন শেহনাজ গিল। সিদ্ধার্থের বলে যাওয়া প্রতিটি কথাই তাঁকে নতুন ভাবে বাঁচার প্রেরণা দেন। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও পোস্ট কিংবা রিয়ালিটি শো তে রাখা মন্তব্য সবেতেই তিনি বোঝান তাঁর মনের মানুষটিকে কতটা মিস করেন তিনি। যদিও তিনি নিজেকে সামলে উঠতে পারেন। যতটা সম্ভব নিজেকে ভেঙে পরতে দেন না। কিন্তু প্রিয় মানুষটির কথা কি না ভেবে থাকা যায়? যদিও নিজেকে শক্ত করে তুলছেন শেহনাজ।
সম্প্রতি শিল্পা শেট্টির বিশেষ চ্যাট শো তে অতিথি হিসেবে আসেন শেহনাজ। নানা প্রসঙ্গে শিল্পা শেট্টির সঙ্গে কথাবার্তা হতে থাকে তার। সম্প্রতি নিজের ম্যানেজারের এনগেজমেন্টে তাকে হাসিখুশি মুডে নাচতে দেখা যায়। তাই নিয়ে নেটিজেনরা ট্রল করতে ছাড়েননি শেহনাজকে। যদিও এসবের প্রতিক্রিয়া দিতে চান না তিনি। শিল্পা শেট্টিকে তিনি বলেন,‘আমি যদি হাসার সুযোগ পাই, তাহলে হাসব। যদি নাচ করার সুযোগ পাই, তাহলে নাচ করব। আমার যদি মনে হয় এখন দিওয়ালি পালন করব, সেটাও করব। কারণ জীবনে খুশি থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর আমি আমার জীবনে সেটার চেষ্টাই করে যাব। এই প্রথম আমি এই ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলছি, কারণ আপনি আমায় প্রশ্ন করলেন। নয়তো আমি এটা নিয়ে কখনও কথা বলতাম না, তা সে যেটাই ভাবুক না কেন!’
সিদ্ধার্থ সব সময় চাইত শেহনাজের হাসিমুখটাই দেখতে। তিনি আরও বলেন,‘সিদ্ধার্থ আমাকে কখনও বলেনি, যে আমি কোনদিন হাসবো না। সিদ্ধার্থ চাইত আমি যেন সবসময় হাসি। তাই আমি হাসব। আমি কাজ করে যাব, কারণ আমাকে জীবনে অনেকদূরে যেতে হবে।’
তবে কি একটু একটু করে সিদ্ধার্থকে ভুলতে শুরু করেছেন শেহনাজ? শেহনাজ জানান, ‘আমি কেন আমার আর সিদ্ধার্থের সম্পর্ক কেমন ছিল সেটা জনে জনে বলব। আমার মনে হয় না গোটা পৃথিবীকে এটা জানানোর দরকার আছে। আমি জানি ও আমার জীবনে কী ছিল, আমি ওর জীবনে কী ছিলাম। সুতরাং আমার মনে হয় না কাওকে ব্যাপারটা নিয়ে কেনও ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন আছে।’
View this post on Instagram
গত বছর সেপ্টেম্বরে বছর চল্লিশের তরতাজা এক যুবক সিদ্ধার্থ শুক্লার আকস্মিক প্রয়াণ নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। নিজের সবচেয়ে প্রিয় মানুষটির শেষ যাত্রায় তাঁকে শোকে ভেঙে পড়তে দেখা যায়। প্রিয় সিডের নিথর দেহের পাশে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। দাদা শেহবাজ তাঁকে সামলান। প্রিয় মানুষটির বিয়োগ সত্যিই খুব বেদনাদায়ক। যে বিয়োগযন্ত্রনা তাঁকে আজীবন বয়ে বেড়াতে হবে।
তবুও কাজে ফিরছেন শেহনাজ। তাঁর চেনা ছন্দে ঢিমেতালে অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন। তাঁর কাজের মাধ্যমে বেঁচে থাকুক সিদ্ধার্থ এটাই তাঁর ইচ্ছে। বিগ বসের ঘর কত সম্পর্ক জুড়ে দেয়। তাঁদের সম্পর্কের বেড়ে ওঠার সাক্ষী সেই ঘর। তাঁরা হয়ে ওঠেন সকলের ভালোবাসার ‘সিডনাজ’। বাগদানও নাকি সম্পন্ন হয় তাঁদের। কিন্তু সবই নিয়তির করুণ নিদান!