whatsapp channel

Rukmini Maitra: প্রথম কাজ দেখে যেতে পারেননি বাবা, ‘দিদি নং ১’-এর মঞ্চে কেঁদে ফেললেন রুক্মিণী

কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় (Kamaleswar Mukherjee) মানেই বাস্তবের মাটিতে থেকে সেলুলয়েডের যাত্রা। ঋত্বিক ঘটক (Ritwik Ghatak)-এর বায়োপিক ‘মেঘে ঢাকা তারা’। কিন্তু এবার কমলেশ্বরকে পাওয়া গেল একদম অন্য মেজাজে, ‘দিদি নং ওয়ান’-এর মঞ্চে।…

Avatar

Advertisements
Advertisements

কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় (Kamaleswar Mukherjee) মানেই বাস্তবের মাটিতে থেকে সেলুলয়েডের যাত্রা। ঋত্বিক ঘটক (Ritwik Ghatak)-এর বায়োপিক ‘মেঘে ঢাকা তারা’। কিন্তু এবার কমলেশ্বরকে পাওয়া গেল একদম অন্য মেজাজে, ‘দিদি নং ওয়ান’-এর মঞ্চে। সঙ্গে ছিলেন রুক্মিণী মৈত্র (Rukmini Maitra) । দুজনের কাছ থেকেই রচনা (Rachana Banerjee) জেনে নিলেন অনেক অজানা কথা।

Advertisements

তের বছর বয়স থেকে মডেলিং করতেন রুক্মিণী। কোনোদিন ভাবেননি অভিনয় করবেন। রুক্মিণীর পরিবারে সবাই উচ্চশিক্ষিত। ফলে পড়াশোনা তাঁর প্রায়োরিটি ছিল। রুক্মিণীর বাবা বলেছিলেন, মডেলিং-এর পাশাপাশি পড়াশোনা চালাতে। মায়ের সমর্থন ছিল। চৌদ্দ-পনের বছর বয়স থেকে রুক্মিণীর সঙ্গে দেব (Dev)-এর আলাপ। 2017 সালে দেব যখন নিজের প্রোডাকশন হাউস তৈরি করেন, তখন তিনি রুক্মিণীকে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। রীতিমত ঝগড়া হয়েছিল দেব ও রুক্মিণীর।

Advertisements

রুক্মিণী অভিনয় করতে চাননি। কিন্তু পরবর্তীকালে তাঁর ভাগ্য তাঁকে অভিনয়ে নিয়ে আসে। সবচেয়ে মজাদার ব্যাপার হল, দেবের সাথে রুক্মিণীর বাবার যেদিন প্রথম দেখা হয়, তিনি জানতে চেয়েছিলেন দেবের কাছে “তুমি কি কর?” দেব উত্তর দিয়েছিলেন, তাঁর নাম দীপক অধিকারী। তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে পাশ করেছেন। একটু রাজনীতি করেন। কারণ পনের বছর রুক্মিণীর বাবা কোনো সিনেমা হলে যাননি। তবে রুক্মিণীর ফিল্ম দেখতে চেয়েছিলেন তিনি।

Advertisements

কিন্তু রুক্মিণীর প্রথম ফিল্ম রিলিজ হওয়ার এগারো দিন আগে তাঁর বাবাকে হারান রুক্মিণী। ভারী হয়ে উঠেছিল ‘দিদি নং ওয়ান’-এর সেটের পরিবেশ। কেঁদে ফেলেছিলেন রুক্মিণী। সামলাতে এগিয়ে এসেছিলেন দেব। সেই রিগ্রেট সারাজীবন থাকবে রুক্মিণীর, বাবাকে প্রথম ফিল্ম দেখাতে পারেননি। কিন্তু তারপরেও জীবনে এত প্রাপ্তি তাঁর বাবার আশীর্বাদের জন্য। বাবাই যেন ভগবানকে বলে রুক্মিণীর কেরিয়ারের অগ্রগতি করাচ্ছেন। সেই সময় দেব বলেন, বাবাকে যেন তাঁদের আগামী ফিল্ম ‘কিশমিশ’-এর জন্যও বলেন রুক্মিণী।

Advertisements

কমলেশ্বরের মতে, ‘কিশমিশ’-এর মধ্যে রয়েছে বাঙালিয়ানা। এটি দুটি পরিবারের গল্প। সেখানে অপ্রয়োজনীয় দ্বিধা- দ্বন্দ্ব না থাকলেও রয়েছে লুকানো মিষ্টি প্রেম। প‍্যান্ডেমিকের সময় কমলেশ্বরের চিকিৎসা অনেককে সাহায্য করেছে। অভিনেতা, পরিচালক, ডাক্তার কমলেশ্বর চারিদিক ব্যালান্স করে চলেন। ফিল্ম বানানোর ইচ্ছাও প্রায় হঠাৎই। বহুদিন ধরেই পেশাদার চিকিৎসক হওয়ার পাশাপাশি যুক্ত ছিলেন নাটকের সঙ্গে। এখন ডাক্তারি সেভাবে না করা হলেও চিকিৎসক বন্ধুদের সঙ্গে নিয়মিত যুক্ত রয়েছেন কমলেশ্বর।

whatsapp logo
Advertisements