Cyclone Update: কালবৈশাখীর পরই স্পষ্ট হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা, কি জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর!
তৃষ্ণার্ত শহরের বুকে কালবৈশাখী দারুন প্রভাব ফেলেছে। গরমের জোর জুলুম থেকে রেহাই পেয়েছে আপামর মানুষ। এখন শহর ঠান্ডা। ঝড় বৃষ্টির রেশ রয়েছে গোটা শহর জুড়ে। সূত্রের খবর, দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় চলবে বজ্র বিদ্যুৎ সহ মাঝারি বৃষ্টি ও ঝড়ো হওয়া।
ঝড় বৃষ্টির সঙ্গে মানুষ মোকাবিলা করে নিতে পারে, কিন্তু সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড়? এই শহর সাক্ষী রয়েছে আমফান ও ইয়াসের মতন দুই ভয়ানক ঘূর্ণিঝড়ের। আবারও কি তবে নতুন ঘূর্ণিঝড় আসতে চলেছে? কী বলছে আবহাওয়া দপ্তর? কবে আসতে পারে সাইক্লোন?
আগামী ৬ মে দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের উপর নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে বলে সূত্রের খবর। এবং এই নতুন ঘূর্ণিঝড় প্রসঙ্গে IMD-র বিজ্ঞানী আর কে জেনামনি জানিয়েছেন যে আগামী ৬ মে নিম্নচাপ তৈরি হবে। এরপর তা শক্তি সঞ্চয় করে আরও ঘনীভূত হবে। দক্ষিণ আন্দামান ও বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এলাকায় সতর্ক করা হচ্ছে। ওই অঞ্চলে মৎস্যজীবীদের মূলত না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, কেননা আবহাওয়ায় অনেক বদল ঘটবে।
কবে আসবে পশ্চিমবঙ্গে? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে ৬ মে যেই নিম্নচাপ তৈরি হবে তার প্রভাব পড়বে আগামী ১০ তারিখের আশেপাশে। সাধরনত, দুটি সময় ঘূর্ণিঝড় হয়। বর্ষার আগে ও বর্ষার পরে। সেইমত প্রাক বর্ষা নতুন ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভবনা প্রবল। উল্লেখ্য, নতুন এই ঘূর্ণিঝড় প্রসঙ্গে IMD ডিজি মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেছেন, ”মে মাসে সাধারণত যখন বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হয়, তখন তা ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও পূর্বাভাস নেই।”