অভিষেক চট্টোপাধ্যায় (Abhishek Chatterjee) চলে গেছেন এক মাস হয়ে গেল, অথবা তারও বেশি। আসলে দিন গুনতে ইচ্ছা হয় না। কারণ মনে হয়, তিনি তো আছেন, সেলুলয়েডের পর্দা জুড়ে, সিরিয়ালের বিগত পর্ব জুড়ে। অভিষেকের জীবদ্দশায় তাঁর পরিবারের খোঁজ কোনোদিন কেউ নেননি। কিন্তু অভিষেক আজ নেই। বারবার তাঁর পরিবারের দিকে মিডিয়ার চোখ ঘুরে যাচ্ছে। অভিমানে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন সংযুক্তা (Sanjukta Chatterjee) ও সাইনা (Saina)। কিন্তু তবু মিডিয়ার কৌতূহল যায় না। সম্প্রতি অভিষেকের ইচ্ছা মেনে সাড়ম্বরে পালিত হল সাইনা ওরফে ডলের জন্মদিন।
অভিষেকের অত্যন্ত আদরের ছিল ডল। প্রতি বছর অভিষেক একমাত্র কন্যার জন্মদিন জাঁকজমক করে পালন করতেন। কিন্তু করোনা অতিমারীর কারণে গত দুই বছর তা বন্ধ ছিল। তবে চলতি বছর অভিষেকের ইচ্ছা ছিল আবারও আগের মতো সুন্দর করে ডলের জন্মদিন পালনের। কিন্তু হঠাৎই এলোমেলো হয়ে গেছে সব। অভিষেকের ইচ্ছা ভোলেননি সংযুক্তা। তিনিই শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলে আয়োজন করেছিলেন ডলের জন্মদিনের। ডলের বার্থডে পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন তার কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আত্মীয়রা। এদিন ডল ছিল বাস্তবিকই একদম ডলপুতুল। তাকে লাল রঙের পোশাকে খুব মিষ্টি লাগছিল।
বারো বছর বয়সে পা দিল ডল। এদিন সন্ধ্যায় তার বার্থডে পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন প্রায় একশো জন অতিথি। জনপ্রিয় কোরিয়ান পপ গানের দল বিটিএসের ভক্ত ডলের জন্মদিনের কেক বানানো হয়েছিল সেই থিমেই। এমনকি উপহারেও ছিল বিটিএসের ছাপ। ছিল বিটিএস-এর লোগো দেওয়া কুশন, টি-শার্ট, টুপি, মাস্ক। এদিন সংযুক্তার পরনে ছিল অভিষেকের সাদা-কালো ছাপা শার্ট। তিনি জানালেন, এই বছর থেকে তিনি ডলের মা হওয়ার সাথে সাথে ডলের বাবাও। নিজেকে অভিষেকের প্রতিনিধি বলে মনে করেন সংযুক্তা। এখনও রাতে তাঁর ও ডলের মাঝখানে শোয়ানো থাকে অভিষেকের ছবি। জন্মদিনের সকালে বাবার ছবিকেই জড়িয়ে ধরেছিল ডল, প্রার্থনা করেছিল আশীর্বাদ।
এমনকি বাবার ছবির সামনে বার্থডে পার্টির কেক কেটে প্রথম বাবাকেই উৎসর্গ করেছে ডল। বারো বছর বয়সে তার জীবন অনেকখানি বদলে গিয়েছে। নিজেও কষ্ট পায় সে। কিন্তু তবু শক্ত হয়ে মাকে সামলাচ্ছে ডল। সে নিজেও অভিনেত্রী হতে চায়। দেরিতে হলেও অভিষেক ও সংযুক্তা কন্যা সাইনা ওরফে ডলকে তার বারো বছরের জন্মদিনে ‘হুপহাপ’ (HOOPHAAP)-এর তরফ থেকে অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। তার সাথে ঈশ্বরের কাছে কামনা, ডলের স্বপ্ন যেন সফল হয়।