বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জন্মলগ্ন থেকে ছবি বিশ্বাস (Chobi Biswas), পাহাড়ী স্যান্যাল (Pahari Shanyal), উত্তম কুমার (Uttam Kumar), কমল মিত্র (Kamal Mitra)-র একনিষ্ঠ ভক্ত বাঙালি জাতি ঘরের ছেলেদের সিনেমায় অভিনয় নিয়ে আপত্তি জানাত। পড়াশোনায় কাঁচা হলে স্কুলের শিক্ষকরা ছাত্রদের সাধারণ চুলের ছাঁটকে কটাক্ষ করে বলতেন, সিনেমা করবে বুঝি! তখন ‘সিনেমায় আসা’ নয়, তা ছিল ‘সিনেমায় নামা’। সোশ্যাল মিডিয়া, একবিংশ শতক কোনো কিছুই প্রভাব ফেলতে পারেনি ‘সিনেমায় নামা’-য়। এখনও অনেকেই মনে করেন, ফিল্ম শুধুই বিনোদন, তা পড়াশোনার বিষয় নয়। বর্তমান টলিউডের নায়করা কিন্তু অনেকেই যথেষ্ট উচ্চশিক্ষিত।
তবে বরাবরের মতোই শিক্ষার ক্ষেত্রেও পিছিয়ে রয়েছেন যশ দাশগুপ্ত (Yash Dasgupta)। নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)-এর সাথে সম্পর্কের জেরে গত বছর থেকে চর্চিত হচ্ছেন যশ। এমনকি চলতি বছর তিনি এণা সাহা (Ena Saha) প্রযোজিত ফিল্ম ‘চিনে বাদাম’-এর কূশীলবের ত্বকের কালো রঙ নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। কালো ছেলের নাচ তাঁর পছন্দ হয়নি। কিন্তু যশ কি করেই বা জানবেন, ত্বকের কালো, ফর্সা ও মাঝারি রং নির্ধারণ করে মেলানিন। কারণ যশ কোনো মতে সিবিএসই বোর্ড থেকে দশম শ্রেণী পাশ করেছেন।
View this post on Instagram
অহংকার করে কোনোদিন নিজেকে ‘ইন্ডাস্ট্রি’ বলেননি প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী (Prosenjit Chatterjee)। কিন্তু মহানায়ক উত্তম কুমার পরবর্তী যুগে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আবারও কাজের ধারা শুরু হয়েছিল তাঁর হাত ধরেই। একের পর এক ফিল্মে অভিনয় করেছিলেন প্রসেনজিৎ। কারণ তিনি জানতেন, ফিল্মের কাজ হলে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কলাকূশলীদের ঘরে হাঁড়ি চড়বে। তাঁর কৃতিত্বের স্বীকৃতি দিতে কখন যে মিডিয়া তাঁকেই ‘ইন্ডাস্ট্রি’ মেনে নিয়েছে তা নিজেও জানতেন না প্রসেনজিৎ। তিনি শিক্ষিত। তাই আজও তারকা হয়েও নম্র। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে স্নাতক হয়েছিলেন প্রসেনজিৎ। স্নাতক স্তরে অত্যন্ত ভালো ফল করলেও অর্থাভাবে স্নাতকোত্তর না করে কাজের জগতে এসেছিলেন তিনি।
View this post on Instagram
অভিনয় বরাবর প্যাশন হলেও পুনের ভারতীয় বিদ্যাপীঠ ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে ডিপ্লোমা করেছেন দেব (Dev)।
View this post on Instagram
পড়াশোনায় বরাবর তুখোড় ছিলেন আবীর চট্টোপাধ্যায় (Abir Chatterjee)। গোয়েঙ্কা কলেজ অফ কমার্স অ্যান্ড বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে এমবিএ করেছেন তিনি।
View this post on Instagram
ভবানীপুর এডুকেশন সোসাইটি থেকে স্নাতক হয়েছিলেন জিৎ (Jeet)।
View this post on Instagram
অঙ্কুশ হেরিটেজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে বি.টেক করেছেন। এছাড়াও বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিয়ে স্নাতক হয়েছিলেন তিনি।
View this post on Instagram
অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Aniban Bhattacharya) রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড্রামা নিয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করেছিলেন। অত্যন্ত ভালো ফল করার জন্য ভারত সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে অনির্বাণকে দেওয়া হয়েছিল ‘ইয়াং আর্টিস্ট স্কলারশিপ’।
View this post on Instagram
প্রযোজক-পরিচালক এবং অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় (Parambrata Chatterjee) শৈশব থেকেই পড়াশোনায় ছিলেন তুখোড়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরাজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর পাশ করার কয়েক বছর পর ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিস্টল থেকে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন প্রোডাকশন নিয়ে স্নাতকোত্তর করেন পরমব্রত।
View this post on Instagram