Subhashree Ganguly: মন দিয়ে রান্নাবান্না করতে চান শুভশ্রী, ‘বৌদি ক্যান্টিন’-এ জমবে ভিড়!
নারী স্বাধীনতা নিয়ে বারবার সরব হয়ে উঠেছেন মানুষ। নারীদের একাংশ তাঁদের মতামত জানালেও অধিকাংশ মেয়েরাই রয়ে গিয়েছেন অন্তরালে। কিন্তু নারী স্বাধীন হওয়ার অর্থ কি পুরুষের মতো হওয়া? এবার এই প্রশ্ন তুললেন শুভশ্রী গাঙ্গুলী (Subhasree Ganguly)।
চলতি বছরের পুজোর সময় মুক্তি পেতে চলেছে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় (Parambrata Chatterjee) পরিচালিত ফিল্ম ‘বৌদি ক্যান্টিন’। ফিল্মের শুটিং চলাকালীন পরমব্রত জানিয়েছেন, নারীরা রোজ যে কাজ করেন, সেই কাজকে স্বীকৃতি দিতেই তৈরি হচ্ছে ‘বৌদি ক্যান্টিন’। ফিল্ম মুক্তির সময় হিসাবে পরমব্রত বেছে নিয়েছেন দেবীপক্ষকে। মা দুর্গার অকালবোধনের সময় মুক্তি পাবে এক নারীর দশভুজা হওয়ার কাহিনী ‘বৌদি ক্যান্টিন’। শনিবার ‘বৌদি ক্যান্টিন’-এর টিজার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে পরমব্রত লিখেছেন, “এবার পুজোয় পেটপুজো করতে বৌদি ক্যান্টিনে যাওয়া মাস্ট, ডায়েট ভুলে কব্জি ডুবিয়ে ভুরিভোজ করা যাক”। টিজার ভাইরাল হওয়ার সাথে সাথেই নেটিজেনদের অপেক্ষা শুরু ‘বৌদি ক্যান্টিন’ রিলিজ করার।
ফিল্মের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন শুভশ্রী। নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের গৃহবধূ থেকে নিজের পরিচয়ে উত্তরণের কাহিনী ‘বৌদি ক্যান্টিন’। পেশায় শিক্ষিকা হলেও সেই মেয়ে চায় তার নিজস্ব ইচ্ছা পূরণ করতে। সে রীতিমত ভালো রান্না করে। তার হাতের রান্নার খ্যাতি পরিবারের গন্ডি ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে স্বামীর সহকর্মীদের মধ্যেও। সে রান্নাকেই নিজের পেশা করতে চেয়ে তৈরি করে ক্যান্টিন। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে একটি মেয়ে নিজের পরিচয় গড়তে চায়। কিন্তু তার স্বপ্নের আড়ালে চলে স্বামীর সাথে মান-অভিমান। একসময় মেয়েটির মনে হয় “মেয়েদের স্বাধীন হওয়া মানেই কি পুরুষের মতো হওয়া?”
‘বৌদি ক্যান্টিন’-এর অনুপ্রেরণা কলকাতার মেয়ে শেফ আসমা খান (Asma Khan) যিনি লন্ডনে বর্তমানে অনেকগুলি রেস্তোরাঁর মালকিন। ছবিতে শুভশ্রীর স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করছেন পরমব্রত, শাশুড়ির চরিত্রে রয়েছেন অনসূয়া মজুমদার (Anasua Majumder)। ফিল্মে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন সোহম চক্রবর্তী (Soham Chakraborty)। ‘বৌদি ক্যান্টিন’-এর কাহিনী লিখেছেন অরিত্র সেন (Aritra Sen)। চিত্রনাট্য লিখেছেন সোমাশ্রী ঘোষ (Shomashree Ghosh) ও সম্রাজ্ঞী বন্দ্যোপাধ্যায় (Samragnee Banerjee)। সম্রাজ্ঞী অবশ্য সামলেছেন সংলাপের দায়িত্বও। অতিরিক্ত চিত্রনাট্য লিখেছেন পরমব্রত।
পরিশেষে অবশ্যই একটি কথা বলতে হবে, সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে পরমব্রত বলেছিলেন, তাঁকে অনেকে ইন্টেলেকচুয়াল বললেও তা ‘ইন্টেলেকচুয়াল’ শব্দটির অপমান। পরমব্রতর মতে, তিনিই ইন্টেলেকচুয়াল যিনি সমাজকে পাল্টানোর ক্ষমতা রাখেন। কিন্তু ফিল্মও সমাজের পরিবর্তনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। টলিউডে বহুদিন ধরেই নারীকেন্দ্রিক ফিল্মের অভাব ছিল। কিন্তু পরমব্রতর হাত ধরেই সঠিক অর্থে শুরু হল নারীকেন্দ্রিক ফিল্মের ধারা যা ভবিষ্যতে পরিবর্তন ঘটাতে চলেছে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্তর্বর্তী কাঠামোয়।